মনিরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিবেদক-
আজ বুধবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ ইং
loading....
শিরোনাম:
- সারা বাংলাদেশে প্রথম শ্রীপুর প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়
- শ্রীপুরে প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- শ্রীপুরে নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের লক্ষে কর্ম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন
- শ্রীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী স্কুল ছাত্রের মৃত্যু
- শ্রীপুরে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
- শ্রীপুরে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের স্কুল ফিডিং ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
- শ্রীপুরে পানিতে ডুবে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু
- শ্রীপুর থানা অফিসার ফোর্সদের ব্যাটমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
- শ্রীপুরে বিনামূল্যে ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প ও কৃত্রিম প্রজনন সেবা প্রদান
- শ্রীপুরে বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প ও কৃমিনাশক বিতরণ
শালিখায় বিভিন্ন প্রজাতির নার্সারি করে ভাগ্য বদল নওশের আলীর।
কর্মসংস্থানের জন্য গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইট-পাথরে মোড়া শহর ঢাকায়। বিভিন্ন কোম্পানির চাকরি করে একপর্যায়ে আর্থিক টানাপোড়নে কারনে বাধ্য হয়ে ছেড়ে দিয়ে গ্রামে ফিরে শুরু করেন নার্সারি। রাত-দিন পরিশ্রম করে দাঁড় করান নার্সারিটিকে। এখন তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত এলাকায়। গল্পটা মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামের নওশের আলী।
নওশের আলী বলেন, ‘তরুণ বয়সে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে ঢাকা শহরে পাড়ি দিই। শুরুতে পোশাক কারখানায় চাকরি করি।তারপর সেটা ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির চাকরী করি।একপর্যায়ে আর্থিক টানাপোড়নে কারনে বাধ্য হয়ে ছেড়ে দিয়ে গ্রামে ফিরে শুরু করেন নার্সারি বেকার অবস্থায় ফিরে আসি গ্রামের বাড়িতে। জীবনযুদ্ধে হার না মেনে পরিচিত এক কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে বাড়ির পাশের পতিত ১০ শতক জমিতে গাছের চারা রোপণ করি।’
নওশের আলী আরও বলেন, ‘শুরুতে জায়গার সংকটসহ নানান সমস্যায় পড়তে হয়। নার্সারি ব্যবসায় ধীরে ধীরে সফলতা আসতে শুরু করে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে চারা রপ্তানি করছি তুরস্ক, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশে চারা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এখন আকারে অনেক বড় হয়েছে নার্সারিটি।
সরেজমিনে দেখা যায়,মাগুরার শালিখায় শতখালী গ্রামে আরশী আজিম নামে তিন বিঘা জমির ওপর বিশাল এক নার্সারি। বিভিন্ন জাতের গাছ দোল খাচ্ছে বাতাসে। নার্সারিতে শোভা পাচ্ছে বিদেশি জাতের আম, মাল্টা, লেবু, জাম্বুরা, আনারস, ফুলসহ দেশি তিন শতাধিক জাতের চারা। উন্নত জাতের ফল, ফুল ছাড়াও এখানে আছে ঔষধি গাছের চারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নওশের আলী নতুন নতুন জাতের চারা উৎপাদন করে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। একজন প্রতিষ্ঠিত নার্সারি মালিক হয়েও এখনো তিনি নিজ হাতে চারার পরিচর্যা করেন। কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছেন। নার্সারিতে প্রতিদিন ১৫-২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন এবং বছরে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা নার্সারি থেকে আয় করছেন নওশের আলী।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন,নওশের আলীর নার্সারি এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ‘শুরু থেকে সফল ওই নার্সারির মালিককে আমরা পরামর্শ দিয়ে আসছি। সফলতার জন্য আমরা তাঁকে ক্রেস্টও দিয়েছি। এই নার্সারির উন্নত জাতের ফল ও ফুলের চারা বিদেশে রপ্তানি করে যাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারেন, সে জন্যও নানান ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।

