ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে জার্মানি। প্রথমার্ধে পাঁচ গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ ও ৭৯ মিনিটের মাথায় সেলেকাওদের জালে ষষ্ঠ ও সপ্তমবারের মতো বল পাঠায় জার্মানরা। শেষ দুই বার গোল উদযাপন করেন আন্দ্রে শুরলে।
এর আগে, খেলায় জার্মানির পক্ষে প্রথমে গোল উদযাপন করেন থমাস মুলার (১১ মিনিটে), দ্বিতীয়বার মিরোস্লাভ ক্লোসা (২৩ মিনিটে), তৃতীয় ও চতুর্থবার টনি ক্রস (২৪ ও ২৬ মিনিটে এবং পঞ্চমবার স্যামি খেদিরা (২৯ মিনিটে)। দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম পর্যন্ত চারটি গোল হয়েছে মাত্র ছয় মিনিটের মধ্যে। এটা যেকোনো ফুটবল ম্যাচের রেকর্ডও বটে। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে নয়ারকে পরাস্ত করেন অস্কার। মাঝমাঠ থেকে দৌড়ে এসে করা স্বান্ত্বনার এ গোল উদযাপনও করেনি লজ্জাজনক হারে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়া দলটি।
খেলার প্রথম মিনিটেই জার্মান উইঙ্গার বাস্তিয়ান শোয়ানস্টাইগারকে ছুঁয়ে মাঠের বাইরে যাওয়া বলে কর্নার কিক পায় ব্রাজিল। সে যাত্রায় প্রথম আক্রমণ করে ব্রাজিল। তবে ডি-বক্সের বাইরে থেকে মার্সেলোর বাম পায়ের শটটি ভ্রষ্ট হয়।আট মিনিটের মাথায় মেসুত ওজিলের পাসে ডি-বক্সের মাঝ থেকে স্যামি খেদিরার শট ফিরিয়ে দেয় ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্স।এরপরই শুরু হয় জার্মানদের গোল উৎসব। মাত্র ২৯ মিনিটের মধ্যেই পাঁচ পাঁচ বার জার্মানির গোল উৎসবের পর বিধ্বস্ত ব্রাজিল কিছুটা পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে।
তবে প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও জার্মান ডিফেন্স ও গোলরক্ষক ন্যুয়েরের কাছে হার মেনে থাকতে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান আক্রমণভাগকে।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ২টায় বেলো হরিজন্তের এস্তাদিও মিনেইরাও স্টেডিয়ামে শুরু হয় দুই দলের সেমিফাইনালের লড়াই।
পোস্টারবয় নেইমার ও সেরা ডিফেন্ডার থিয়েগো সিলভাবিহীন ব্রাজিলের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তি নিয়ে লড়াইয়ে নামে তিন বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।
প্রথম সেমিফাইনালে রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মেক্সিকোর মার্কো রদ্রিগেজ। ১৩ জুলাই জার্মানি মারকানায় লড়বে শিরোপার জন্য আর্জেন্টিনা অথবা নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
প্রথম সেমিফাইনালের আগে ২১ বার মুখোমুখি হয় সেলেকাও ও জার্মানরা। এর মধ্যে ১২ বার জিতে নেয় ব্রাজিল, আর জার্মানি জেতে চার বার। পাঁচটি ম্যাচের মীমাংসা হয় ড্র’তে।