আপনারা কী জানেন এমন দু’টি গ্রহ রয়েছে, যেখানে হিরের বৃষ্টি হয়? ভাবছেন, গল্পের গোরু গাছে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে? এক্কেবারেই নয়। সত্যিই এমন গ্রহ রয়েছে যেখানে হিরের বৃষ্টি হয়। এখানে জানিয়ে রাখি, আরও কয়েকটি এমন তথ্য রয়েছে, যা শুনে আপনার মনে হতেই পারে, সেগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যে। কিন্তু বিশ্বাস না-করলেও, সে সবই সত্যি। কী সেই তথ্যগুলি যা শুনলেই মিথ্যা মনে হয়?
১. কচ্ছপ নিতম্বের মাধ্যমে শ্বাস নেয়– ঠিকই পড়েছেন। কচ্ছপ তার নিতম্বের মাধ্যমেই শ্বাস নেয়।
২. বালির শুধু একটাই রং দেখতে পাই আমরা। কিন্তু বাস্তব হল বালি একাধিক রঙের হয়। অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখলে বালির একাধিক গঠনবিন্যাস, রং এবং আকার দেখা যাবে।
৩. সেই কোটি কোটি বছর আগে ডাইনোসররা যে জল পান করেছিল, আজকের যুগে সেই জলই আমরা পান করছি। বিশ্বাস হচ্ছে না-তো? শরীর থেকেযে জল বহিষ্কৃত হয়, তা রিসাইকেল হয়। তাই প্রবল সম্ভাবনা– আপনার সামনে গ্লাসে বা বোতলে যে জল রয়েছে, সেটি সেই জল যা এক সময়ে ডাইনোসররা পান করেছিল।
৬. আমাদের শরীরে কোষের চেয়েও বেশি সংখ্যক ব্যাক্টিরিয়া থাকে। আমাদের শরীরে ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ রয়েছে। কিন্তু ব্যাক্টিরিয়ার সংখ্যা সেই কোষেরও ১০ গুণ!
৮. মধু কখনো নষ্ট হয় না। হাজার হাজার বছর আগেকার মধু এখনও খাওয়ার যোগ্য। প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রায়ই একটি অক্ষত মধু আবিষ্কার করেন। এটিই একমাত্র খাদ্যসামগ্রী যা চিরকাল অক্ষত থাকে।
৯. শনি এবং বৃহস্পতি– এই দুই গ্রহেই বৃষ্টি হয়। তবে এ বৃষ্টি যে-সে বৃষ্টি নয়। পৃথিবীতে হিরে অত্যন্ত মূল্যবান রত্ন। কিন্তু শনি এবং বৃহস্পতি গ্রহে? সেখানে তো হিরের বৃষ্টি হয়। শনি এবং বৃহস্পতিগ্রহের আবহাওয়ায় এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা জলের পরিবর্তে হিরেতে পরিণত হয়ে যায়।
১১. বেটি হোয়াইটের পর স্লাইসড ব্রেডের জন্ম। জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেত্রী, কমেডিয়ান, গায়িকা, লেখিকা বেটি হোয়াইট প্রায়ই নিজের বয়স নিয়ে ঠাট্টা-তামাসা করতেন। কিন্তু তাঁর জন্ম ১৯২২ সালে। অথচ ১৯২৮ সালে স্লাইসড ব্রেড প্রথম তৈরি করা হয়।