মাগুরানিউজ.কমঃ
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তারকা ব্যাটসম্যান সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৮ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। তবে দুই বছরের ক্ষমাযোগ্য শাস্তির বিধান রেখে রায় ঘোষণা করা হয়। এরফলে ২০১৬ সালের আগস্ট থেকেই মাঠে দেখা যেতে পারে জনপ্রিয় ব্যাটসম্যান আশরাফুলকে।
অন্যদিকে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিহাব চৌধুরীর ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ অাগস্ট বা তারপর ক্রিকেটে ফিরতে পারেন আশরাফুল।
গত বছরের ১৩ অাগস্ট থেকে কার্যকর রয়েছে আশরাফুলের নিষেধাজ্ঞা। তাই ২০১৬ পর্যন্ত ক্রিকেটের বাইরে থাকতেই হচ্ছে সাবেক এই অধিনায়ককে। এর মধ্যে বিসিবি বা আইসিসির কোনো শিক্ষা বা পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে সাবেক এই অধিনায়ককে। সেক্ষেত্রে তিন বছর পর বাতিল হতে পারে বাকি দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা।
তবে জরিমানার ১০ লাখ টাকা দিতেই হচ্ছে আশরাফুলকে।
এর আগে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কারণে বিসিবির নিয়োগপ্রাপ্ত ট্রাইব্যুনাল ৮ বছরের জন্য যেকোনো ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আশরাফুলকে। গত বছরের ১৩ মে থেকে নিষিদ্ধ হয়ে আছেন আশরাফুল।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে আশরাফুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি তার সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত ৮ জুন জানানো হয়েছিল বিস্তারিত রায়।
আপিল করার সুযোগ থাকায় গত জুলাইয়ে আশরাফুল বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির প্রধান বিচারপতি আব্দুল রশিদ বরাবর আবেদন করেন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আশারাফুলের শাস্তি কমলো।
এদিকে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ব্যবস্থপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরীর ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তবে তার ২০ লাখ টাকার জরিমানা বাতিল করা হয়েছে।
২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আশরাফুলকে ৮ বছর এবং ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিহাব চৌধুরীকে ১০ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে ট্রাইব্যুনাল।
সংক্ষিপ্ত রায়ের পর এক যৌথ বিবৃতিতে হতাশা ও বিস্ময় প্রকাশ করেছিল আইসিসি ও বিসিবি। আপিলের সুযোগ নিয়ে আবেদন করায় ৮ বছর থেকে তার নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ৫ বছর করা হলো।