মাগুরানিউজ.কমঃ
বিজয়ের মাস এসেছে তাই ওরা এসেছে। ডিসেম্বর এলেই পতাকা হাতে দেখা মেলে ওদের। বাঙালী জাতির বিজয়কে আনন্দঘন করতে দেশ ব্যাপি জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে দেওয়াই যেন ওদের কাজ। এদের এমনই একজন রিপন শেখ।
২০ বছর বয়স থেকে রিপন শেখ পতাকা বিক্রি করছেন। প্রতি বছরের ডিসেম্বর ও মার্চ মাস এলেই তিনি ফেরি করে জাতীয় পতাকা বিক্রি করে বেড়ান। এবারের ডিসেম্বরেও তিনি জাতীয় পতাকা বিক্রি করছেন। কুষ্টিয়া থেকে সকাল ৯ টায় মাগুরা এসেছেন। ফেরি করে বিক্রি করছেন জাতীয় পতাকা। সন্ধ্যায় আবার কুষ্টিয়া ফিরে যান। সারাদিন মাগুরা শহরে পতাকা বিক্রি করেছেন।
রিপন শেখ জানালেন, বিভিন্ন দোকানে দোকানে এবং মাইক্রোবাস, ইজি-বাইকসহ বিভিন্ন ইঞ্জিন চালিত যান ও শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যান নছিমন, করিমন, পরিমন-আলগানে এসব ছোট-বড় সব ধরণের জাতীয় পতাকা বিক্রি করেছেন। ওই সব যানের চালকরাই শুধু নন, এ পতাকা কিনছেন রিকসা-ভ্যান, সাইকেল-মোটর সাইকেল চালকরা। আর সামনে পড়লে শিশুদের কথাতো বলার অপেক্ষা রাখেনা। তারা কেনে পতাকা ও মাথার বাধার ব্যাজ।
রিপন শেখ জানালেন, ঢাকার গাজীপুর জেলা থেকে মার্চ ও ডিসেম্বর মাসে পতাকা কিনে আনেন। ফেরি করে বিক্রি করে বেড়ান বিভিন্ন জেলা ও গ্রাম-গঞ্জে। তিনি ছোট-বড় সব ধরনের পতাকা কিনে আনেন। পরে কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ফেরি করে বিক্রি করেন। বছরের অন্য সময় তিনি কসমেটিকস ফেরি করে বিক্রি করেন।
রিপন শেখ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার সোহদী গ্রামের আসমত আলী শেখের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে মেঝ। প্রায় ৬ বছর আগে বিয়ে করেছেন তিনি। সংসার জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি।
রিপন শেখ স্বাধীনতা ও বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করে বেশি আনন্দ পান বলে জানান। বলেন, ‘বিজয়ের এ মাসে যদি প্রত্যেকের হাতে একটি করে লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিতে আর মাথায় একটি করে জাতীয় পতাকা খচিত ব্যাজ বেঁধে দিতে পারতাম তা’হলে পতাকা বিক্রিতে আমার সার্থকতা আসত।’