মাগুরানিউজ.কমঃ
মাগুরার যেখানেই হোক ফোন করলেই আপনার বাড়িতে হাজির হবে রাইস মিল। শুধু জানা থাকতে হবে আপনার কাছেপিঠে থাকা সেবা প্রদানকারীর মোবাইল নাম্বারটির। একটা ফোন আর আপনার বাড়িতে হাজির ভ্রাম্যমান রাইস মিল। ধান ভাঙ্গানো তো হলো এবার পিঠা খেতে চাই চালের গুড়ো।তাতেও সমস্যা নেই, হয়ে যাবে চালের গুড়োও। শুধু একটা ফোনেই হয়ে যাবে সবকিছু।
কিছুদিন আগেও গাড়িতে করে অনেক দূরের শহরের মিলে নিয়ে ধান-গম ভাঙাতে হতো কৃষকদের। কিন্তু এখন রাইস মিলই চলে এসেছে কৃষকের বাড়ির দোরগোড়ায়। ডাকলেই ধান ভাঙিয়ে দিয়ে যায়। গ্রামের মানুষ এটাকে বলে ভ্রাম্যমাণ রাইসমিল।
মাগুরার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এখন দেখা যায় এই রাইচমিল। শ্যালো মেশিনে ধান ভাঙাচ্ছে, পাকা সড়কের উপর। গ্রামের কৃষকরা অনেকেই ধান ভাঙিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
কথা হয় এমন এক মিল মালিক ফজলুর রহমানের (৩৫) সাথে। তার বাড়ি পাশেই বেজপাড়া গ্রামে। তিনি জানান, রাইসমিল নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে গৃহস্থের ধান-গম ভাঙিয়ে দেন। সারা বছরই কাজটা করেন। তবে ধানের মৌসুমে রোজগার ভালো হয়।
তিনি বলেন তার মতো অনেকেই এভাবে ভ্রাম্যমান রাইস মিল চালাচ্ছেন। মোবাইল করলেই পৌছে যাচ্ছেন কাঙ্খিত গ্রাহকের কাছে।
বাবার সঙ্গে সহযোগিতা করেন নাসির (১৮)। লাভ-লোকসানের হিসাবে তিনি পাকা। নাসির জানান, ১ লিটার ডিজেলে ৪ মণ ধান ভাঙানো যায়। প্রতি মণ ধান ভাঙানি ৩০ টাকা। সে হিসাবে আয় ১২০ টাকা। আর খরচ শ্রম বাদে ৭০ টাকা। তিনি জানান, মৌসুমের সময় দৈনিক ৭০ মণ ধান ভাঙানো যায়। এতে খরচ বাদ দিয়ে ৬০০ টাকার মতো থাকে।
গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ভ্রাম্যমাণ রাইসমিলের কারণে খুব সুবিধা হয়েছে। আগের দিনে মাথায় করে অথবা গরুর গাড়িতে করে ধান দূরের বাজারে নিয়ে যেতে হতো। এতে কষ্টের শেষ ছিলো না। আর এখন মোবাইল করলেই ফজলু বাড়িতে এসে ধান ভাঙিয়ে দিয়ে যায়।