মাগুরানিউজ.কমঃ
মিষ্টান্ন ছাড়া ইফতারির কথা অকল্পনীয়, আর মিষ্টান্নের মধ্যে অন্যতম জিলাপি। বিভিন্ন ধরনের জিলাপির মধ্যে রসনা বিলাসীদের পছন্দের শীর্ষে শাহী জিলাপি।
এই জিলাপির নামের সাথেই যেমন একটা রাজকীয় সম্পর্ক রয়েছে, তেমনি এর স্বাদ-গন্ধ, আকার আয়তনও অনন্য। তাই শাহী জিলাপি না বলে বাদশাহি জিলাপি বলাই বোধহয় ভালো।
মাগুরা সৈয়দ আতর আলী রোড, ঢাকার রোড, নতুন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ইফতার বাজার ঘুরে দেখা যায়, শাহী জিলাপি, প্যাঁচ জিলাপি, আমিত্তিসহ হরেক রকমের জিলাপি রয়েছে দোকানগুলোতে। এসব জিলাপি শুধু নামেই আলাদা নয়, এর আকার ও স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা।
ময়দা-ঘি-ডালডা আর তেলের সংমিশ্রণে বড় বড় প্যাচে মোটা করে ভাজা একেকটি শাহী জিলাপি’র ওজন আধা কেজি থেকে শুরু করে তিন-চার কেজি পর্যন্ত হয়। ভাজার সময়ের ঘ্রাণটাও চমৎকার। একটু কড়া করে ভাজা শাহী জিলাপি দেখলেই জিভে পানি চলে আসে।
শাহী জিলাপি বিক্রেতা মো. কউসার মিয়া ‘মাগুরানিউজ’কে বলেন, ‘ শাহী জিলাপি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। বাপ-দাদারা যে জিলাপি তৈরি করেছেন ঐটাই তৈরি করার চেষ্টা করি। তাদের নিয়মেই ঘি, ডালডা আর তেলের মিশ্রণ দেই।’ তবে সবকিছুর দাম বাড়তি হওয়ায় মান ঠিক রাখা কষ্টকর বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সারা বছর জিলাপির ব্যবসা চললেও রমজান মাসে বেড়ে যায় এর চাহিদা। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দামও বাড়ে। আর এলাকাভেদে দাম একটু ভিন্ন। মাগুরার বিভিন্ন এলাকায় শাহী জিলাপি কেজি প্রতি ১২০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়।
ইফতারি কিনতে আসা সুফিয়ান ‘মাগুরানিউজ’কে বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে বাজারের সামনের যানজট ঠেলে শহরে এসেছি। বাড়িতে যাওয়ার আগে বন্ধুরা একসাথে ইফতার করবো। ইফতারিতে জিলাপি থাকবে না তা কী করে হয়। আর শাহী জিলাপি ছাড়াতো ইফতারি পূর্ণতা পায় না।’


