মাগুরানিউজ.কমঃ
সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ২০০৯ সালের মে থেকে দেশের ৪১৮টি সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেলফোনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করে সরকার। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছর পেরিয়ে গেলেও শুধু প্রচারণার অভাবে মাগুরার চার উপজেলার প্রান্তিক মানুষের কাজে আসছে না এ সেবাটি।
জানা গেছে, এ সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করার জন্য ওই সময় সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারণার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। নম্বরটি প্রচার ও প্রদর্শনের জন্য জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণকে জানাতে বলা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রচার ও প্রদর্শনে উদ্যোগী না হওয়ায় সেলফোনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়নি। স্বাস্থ্যসেবার বদলে সেলফোনটি দাপ্তরিকসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জরুরি চিকিৎসসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে সেলফোন দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মাগুরা সদর হাসপাতাল এবং শ্রীপুর হাসপাতাল, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারটি সেলফোন দেয়া হয়। নিয়মানুযায়ী, একজন মেডিকেল অফিসারের ২৪ ঘণ্টা সেলফোনের মাধ্যমে জনগণকে জরুরি চিকিত্সাসেবা প্রদান ও পরামর্শ দেয়ার কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর হাসপাতালে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা জানান, সেলফোনে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়াকে টেলিমেডিসিনসেবা বলা হয়। কেবল জরুরি প্রয়োজনেই তাত্ক্ষণিকভাবে ফোনে এ সেবা ও পরামর্শ দেয়ার কথা। এ ব্যাপারে কঠোর সরকারি নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু জনবল সংকটসহ নানা কারণে এ উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া বর্তমানে অনেক হাসপাতালে সরকারি সেলফোনটি দাপ্তরিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রচারণার অভাবে সেবাটি সম্পর্কে জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কোনো ধারণাই নেই। তাই এ উদ্যোগটি সফল করতে ব্যাপক প্রচারণার সঙ্গে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মুক্তাদুর রহমান বিশ্বাস বলেন, সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিত্সকরা নিয়মিত সেলফোনে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। তবে জনবল সংকটের কারণে অনেক সময় জরুরি বিভাগের চিকিত্সকদের পক্ষে যথাযথভাবে সেবাটি দেয়া সম্ভব হয় না। এজন্য আলাদা চিকিত্সক নিয়োগ দেয়া হলে কর্মসূচিটি অধিকতর ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করেন তিনি।