শ্রীপুরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, খরচের টাকা তুলতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষিদের

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও চাষিদের উত্তম পরিচর্যায়  এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে শ্রীপুরে । তবে পেঁয়াজের বাজার মন্দা হওয়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রীপুর উপজেলার পেঁয়াজ চাষিরা। এমতাবস্থায় চাষাবাদের খরচের টাকা তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষিদের। গেল কয়েক মৌসুম পেঁয়াজের ভালো দাম পেলেও চলতি মৌসুমে বিপাকে পড়েছে পেঁয়াজ চাষিরা।

উপজেলার একাধিক পেঁয়াজ চাষিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, জমি তৈরি, বীজ বোপণ, সার, কীটনাশক, পানি ও শ্রমিকের খরচ মিলিয়ে প্রতি শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ আবাদে খরচ হয় ১২ থেকে ১৩’শ টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। যে কারণে মুনাফার আশা ছেড়ে দিয়ে খরচের টাকা তুলতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, এ মৌসুমে শ্রীপুরে ৩১৫ হেক্টর জমিতে আগাম মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়। যার হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১৫ মেট্রিকটন। মোট ফলন ৬৭২৫ মেট্রিকটন। এ মৌসুমে আগাম ১৬ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হয়। এছাড়া ৬ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে হানি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। যার হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১৩ মেট্রিকটন। উপজেলায় লাল তীর কিং, লাল তীর হাইব্রিড ও বারি পেঁয়াজ-১ আবাদ হয়েছে। সিংহভাগ জমিতে লাল তীর কিং জাতের পেঁয়াজ আবাদ করেছে চাষিরা। গত বছর ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয় পেঁয়াজের। যা এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে এ মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। চাহিদানুযায়ী বাজার দর না থাকায় বিপাকে পড়েছে পেঁয়াজ চাষিরা। অর্থভাবে অধিকাংশ কৃষক বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি করলেও উন্নত বাজার দরের আশায় নিজ বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণে রাখছে কেউ কেউ।

উপজেলার মালদাহ গ্রামের চাষি সুধির কুমার বিশ্বাস বলেন, চলতি মৌসুমে ১৭০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছেন তিনি। এতে তার খরচ হয়েছে ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা। পরিশ্রম তো ফাও। কিন্তু যে পেঁয়াজ পাবো তা বিক্রি করলে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার পাবো।

উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামের চাষি শাখাওয়াত খোন্দকার বলেন, পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও লোকসানে পেঁয়াজ বিক্রি করছে হচ্ছে।  এক মণ পেঁয়াজের ফলন পেতে ৯’শ থেকে এক হাজার টাকা খরচ হয়। এরপর বাজারজাত করণের খরচও আছে। বাজারে এখন ৬’শ থেকে সাড়ে ৬’শ টাকা মণে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। যে কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে আগাম পেঁয়াজ চাষিদের।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। অনূকুল আবহাওয়ায় এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিসের লোকজন নিয়মিত পেঁয়াজ চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

September ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Aug    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  

ফেসবুকে আমরা

বিভাগ

দিনপঞ্জিকা

September ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Aug    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
%d bloggers like this: