মাগুরা জেলার ৬ টি নদী শুকিয়ে যাওয়ায় জীববৈচিত্র প্রাকৃতিক ভারসাম্য পরিবেশের মারাত্মক হুমকিসহ সেচ কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যহত হলেও ট্রাষ্ট ফান্ড প্রকল্পের প্রস্তাব ফাইল বন্ধী পড়ে রয়েছে। ভারতের উজান থেকে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করায় মাগুরা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ৬ টি নদী শুকিয়ে গেছে। ফারাক্কা বাঁধসহ বিভিন্ন বাঁধ নির্মানের কারণে
পলি পড়ে নদীগুলো ভরাট হয়ে মরা নদীতে পরিনত হয়েছে। নাব্যতা হারানর কারনে নদীবক্ষে বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে জেগে উঠেছে চর। বর্তমানে পরিনত হয়েছে আবাদী জমিতে। নদীগুলোর পানি ধারন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি উপছে নদী তীরবর্তি এলাকায় দেখা দিচ্ছে বন্যা। জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার মানুষ পড়ছে চরম দূর্ভোগে। জেলার ৪ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলো হচ্ছে নবগঙ্গা, কুমার, ফটকি, চিত্রা, গড়াই ও মধুমতি। গুরুত্বপূর্ন এ নদীগুলোর সাথে জেলার ৪ টি উপজেলার ৬ লাখ মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। তাছাড়া এসব নদীর ওপর পাশ্ববর্তী খালের মাধ্যমে ৩০ হাজার হেক্টর জমির সেচ কার্যক্রম নির্ভরশীল। নদীগুলোর পানি প্রবাহ কমে সর্বনি¤œ পর্যায়ে আসায় অনেক এলাকায় সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে দেখা দিয়েছে পন্য পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা। ফলে নদীগুলো হারিয়ে ফেলছে বানিজ্যিক গুরুত্ব। গড়াই মধুমতি নদী দুটির বক্ষে বিশাল চর পড়ায় মাগুরা জেলার শ্রীপুর মাগুরা সদর ও মহম্মাদপুর উপজেলাসহ পার্শবর্তী রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার মানুষের জীবনযাত্রা চরম ভাবে ব্যহত হচ্ছে। এদিকে চিত্রা নদীটি জেলার শালিখা উপজেলা ও যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার মধ্যদিয়ে নড়াইলে গিয়েছে। জেলার সংযোগ রক্ষাকারি এই নদী বর্তমানে পুরোটাই মরে গে্েছ। জেলার অপর নদী কুমারের বুক জুড়ে মাইলের পর মাইল চর জেগে উঠেছে। এক সময়ের খর¯্রতা এ নদী বর্তমানে পানিশুন্য জলাশয়ে পরিনত হয়েছে। নদীপ্রাপ্ত সুযোগ থেকে বন্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। তাছাড়া নদীগুলোর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি ধরে রাখার ক্ষমতা না থাকায় নদীর পানি উপচে একদিকে বন্যা অপরদিকে নদী ভাঙ্গনে জনজীবনে নেমে আসে ভয়াবহ দূর্যোগ। সাথে সাথে বন্যায় ফসল ঘরবাড়ি বৃক্ষ সম্পদসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত ৬ টি নদীর মধ্যে গড়াই নদীর ৩০ কিলোমিটার এলাকা খননের কাজ চলছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের আওতায় ৯৪২ কোটি টাকা ব্যায়ে কুষ্টিয়া জেলার তালবাড়িয়া তেকে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালীতে মধুমতি নদীর সংযোগ স্থল পর্যন্ত খনন কাজ চলছে। খনন কাজ সম্পন্ন হলে গড়াই নদী কিছুটা হলেও প্রান ফিরে পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে প্রকল্পের কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন হওয়ার উপর তা নির্ভর করছে। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য নদীগুলোর পাড় ও নদী সংলগ্ন খাল বিল সংস্কার ও জলবদ্ধতা থেকে এলাকার মানুষকের্ ক্ষার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ড প্রকল্পের আওতায় ৮১ কোটি ২ লাখ টাকার প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। মানুষের জীবন মানের উন্নযনের জন্য নদীগুলোর খনন ও সংস্ক্ার জরুরী বলে এলাকাবাসী মনে করছে।