মাগুরানিউজ.কমঃ
শতকের জন্য তামিম ইকবালের প্রায় সাড়ে চার বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন নিজের পঞ্চম টেস্ট শতকটি পেয়েছেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
মঙ্গলবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম সেশনে শতকে পৌঁছান তামিম। এটি তার সবচেয়ে মন্থর শতক। ৪৩৮ মিনিটে তিনি শতকে পৌঁছান ৩১২ বল খেলে।
১৬৯ বলে প্রথম অর্ধশতকটি পান তামিম। তার দ্বিতীয় অর্ধশতকটি আসে ১৪৩ বলে। শেষ পর্যন্ত ১০৯ রান করেন তিনি। মধ্যাহ্ন-বিরতির কিছুক্ষণ আগে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বলে গালিতে ধরা পড়ে শেষ হয় তার ৩৩২ বলের ইনিংসটি।
প্রথম দিন শেষে ২৫০ বল খেলে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় দিনও একই রকম ধৈর্য্যের সঙ্গে খেলে নিজের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান তামিম।
দ্বিতীয় ঘণ্টার শুরুতে নাটসাই মুশাংওয়ের বলে লংঅন দিয়ে চার মেরে শতকে পৌঁছান তামিম। শতকে পৌঁছেও খুব একটা উদযাপন করেননি তিনি। একহাতে হেলমেট আর অন্য হাতে ব্যাট তুলে দর্শকদের অভিনন্দের জবাব দিয়েই পরের খেলার জন্য প্রস্তুত হন তিনি।
২০০৮ সালে অভিষেকের পর ২০তম ইনিংসে প্রথম শতক পেয়েছিলেন তামিম। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ১২৮ রান করার পথে ২৪৩ বল খেলেছিলেন তিনি।
পাঁচ ইনিংস বিরতির পর আবার শতক পান তামিম। ২০১০ সালে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে ১৫১ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন মাত্র ১৮৩ বলে।
সাত ইনিংস বিরতির পর আবার শতক পান দেশসেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম। আর এই সাত ইনিংসের ৫টিতেই অর্ধশতক করেছিলেন তিনি।
২০১০ সালের জুনে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস ও ম্যানচেস্টারে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি শতক করেন তামিম। লর্ডসের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ বলে ১০৩ ও ম্যানচেস্টারের প্রথম ইনিংসে ১১৪ বলে ১০৮ রানের দুটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর ৩৩ ইনিংসে আর নিজের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি তামিম। গত বছর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একবার শতকের খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেবার মাত্র ৫ রানের জন্য শতক থেকে বঞ্চিত হন তিনি।
অবশেষে প্রায় সাড়ে চার বছর পর শতক পেলেন তামিম। পুরোপুরি টেস্ট মেজাজে খেলে নিজের পঞ্চম শতকটি পেয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ছয়টি শতক করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি টেস্ট শতকের অধিকারী মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছেন তামিম।