মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী সুমন শেখের লাশ দাফনের ১১২ দিন পর উত্তোলন করা হয়েছে।সোমবার দুপুরে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় বালিদিয়া গোলাম কিবরিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা কবরস্থান থেকে সুমন এর লাশ উত্তোলন করা হয়।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৪ই অগাস্ট মহম্মদপুর সদরে বিক্ষোভ মিছিল করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সুমন শেখ মারা যায়।ওইদিনই ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়।জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মুন্সি রাসেল হোসেনের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। সুমন শেখ মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের কান্নু শেখের ছেলে। মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালত সুমনের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন বলে জানান মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান।এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জন নামীয় ও দুজনকে অজ্ঞাত নামীয় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
কলেজছাত্র সুমন শেখ (১৮) নিহতের ঘটনায় গত ১৫ আগষ্ট বিকালে ১৭২ জনকে আসামি করে মহম্মদপুর থানায় নিহত সুমন শেখের বাবা কান্নুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীরেন শিকদার, তাঁর ভাই বিমল শিকদার, মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটনসহ দলীয় ১৭২ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আসামিদের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে বলে যুক্ত বলে জানা গেছে। নিহত সুমন শেখ মহম্মদপুর বিএম টেকনিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মামলায় মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি বীরেন শিকদারে বিরুদ্ধে নিহত সুমন শেখকে হত্যার হুকুম ও মদদ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।