মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রিতবেদক-
শ্রীপুরে হেনা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তখলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তখলপুর গ্রামের শফি মেম্বারের মেয়ে হেনা বেগমের সাথে একই গ্রামের মিরুল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই হেনাকে স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে আসছে। প্রথম স্ত্রীকে রেখে স্বামী মিরুল মিয়া আরো দুইটি বিয়ে করে। বর্তমানে মিরুল মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় থাকে। দুই সন্তানের জননী হেনা বেগম ও ছেলেদের কোন খোঁজ খবর নেই স্বামী মিরুল মিয়া। মিরুলের নির্দেশে মা, ভাই ও ভাই বউদের দিয়ে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে ওই গৃহবধূকে।
এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ হেনা বেগম বলেন, আমার স্বামী আমার ও আমার সন্তানদের কোন খোঁজ-খবর রাখে না। অনেক কষ্টে সন্তানদের মানুষ করছি। বৃহস্পতিবার রাতে দাদী শ্বাশুড়ির অসুস্থতার খবর শুনে দেবর হারুনের বাড়িতে গেলে শ্বাশুড়ী জয়তুন খাতুন, মিনা বেগম, হারুন মিয়া, কাবিল মিয়া আমাকে মারধর শুরু করে। এ পর্যন্ত আমাকে ৫ বার মারা হয়েছে। স্বামীর নির্দেশেই ওরা আমাকে প্রতিনিয়ত মারে। আমি সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিরুল ও হারুন মিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে কেউ কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জব্বারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।