মাগুরানিউজ.কমঃ
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে মাগুরার ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা। সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলনমেলা মাগুরার এই পূজা। তাই এ পূজা সীমানা ছাড়িয়ে আজ সৌহার্দের কাত্যায়নী উৎসবে পরিনত হয়েছে। শত বছরের পুরোনো এ পূজা চলবে পাঁচ দিন। আজ সন্ধা থেকেই শহরে উৎসবের সুইচ অন। বেড়েছে লোকসমাগম, জমজমাট পূজা প্রাঙ্গণ।
কাত্যায়নী পূজার প্রতিমা তৈরি নিয়ে আয়োজকদের নীরব প্রতিযোগিতা দীর্ঘদিনের। ইন্টারনেটে নকশা দেখার সুবিধা এই প্রতিযোগিতায় যোগ করেছে নতুন মাত্রা। দেশ-বিদেশের হাজারো ছবি থেকে বাছাই করে নেওয়া হয়েছে নকশা। ফলে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জায় লেগেছে শৈল্পিক ছোঁয়া।
পূজা উপলক্ষে এরই মধ্যেই গোটা শহরকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। পূজামণ্ডপ এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন তোরণ, প্যান্ডেল। পূজামণ্ডপসহ শহরে করা হয়েছে চোখধাঁধানো আলোকসজ্জা।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরে মন্দিরে পূজার সাজসজ্জা ও প্রতিমা তৈরি নিয়ে একটি নীরব প্রতিযোগিতা চলে। ফলে প্রতিটি মন্দির কর্তৃপক্ষ নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করে। আগে প্রতিমা কারিগর ও ডেকোরেটর মালিকদের ওপরই এই প্রতিযোগিতার ভালোমন্দ নির্ভর করত। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেটের সুবাদে ধারাটা পাল্টেছে। এখন প্রতিটি মন্দির কর্তৃপক্ষ গুগলের সাহায্যে অসংখ্য প্রতিমার ছবি দেখে নকশা বাছাই করছে। কারিগরেরা সেই অনুযায়ী প্রতিমা তৈরি করে দিচ্ছেন। ফলে প্রতিমা তৈরিতে একদিকে যেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে অন্যদিকে যোগ হয়েছে শৈল্পিকতা। প্রতিমা প্যান্ডেল, আলোকবাতি সবকিছুতেই এখন বাছাই করা নকশা ব্যবহার করা হচ্ছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম মাগুরা নিউজকে বলেন, পূজা দেখতে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।