গ্রামীণ অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় সাফল্য

মাগুরানিউজ.কমঃ ওয়েব ডেস্ক-

বাংলাদেশ আয়তনে ক্ষুদ্র হয়েও ইতোমধ্যে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবিস্মরণীয় সাফল্য লাভ করেছে। গ্রামীণ অঞ্চলে শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় চালু করা হয়েছে শতভাগ বিনামূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচী এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে উপবৃত্তি ব্যবস্থা। গ্রামীণ পর্যায়ে ২৬ হাজার ১৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষা সুবিধাবঞ্চিত গরীব মেধাবীদের জন্য গঠন করা হয়েছে “শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট”।

গ্রামীণ পর্যায়ে দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ১২ হাজার ৭৭৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে সরকার। ৩২ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টায় দেশের ৪০ টি জেলা হাসপাতাল এবং ২০ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপন করা হয়েছে। অসহায়, এতিম, দুস্থ শিশুদের জন্য স্থাপন করা হয়েছে শিশু বিকাশ কেন্দ্র। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার লক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ১২টি মেডিকেল কলেজ, নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৭ হাজারেও বেশি জনশক্তি।

গ্রামীণ অঞ্চলে বেড়েছে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লক্ষ এবং ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষে উন্নীত হয়েছে। সেবা প্রদান প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে চালু করা হয়েছে ই-পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং। গ্রামের মানুষ এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের বাহিরে তাদের আত্মীয়স্বজনদের সাথে নিয়মিত কথা বলে।

সম্প্রতি প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারি সেবা গ্রামীণ পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার দেশের ৪৫৫০ টি ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপন করেছে ডিজিটাল ইউনিয়ন সেন্টার। যেখান থেকে গ্রামের মানুষ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি সেবা গ্রহন করছে।

সরকারের প্রচেষ্টায় কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বেড়েছে। বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। প্রধানমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম আবিষ্কার করেছেন পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং। সারা বিশ্বে আজ পর্যন্ত মাত্র ১৭ টি উদ্ভিদের জিনোম সিকুয়েন্সিং হয়েছে, তার মধ্যে ড. মাকসুদ করেছেন ৩টা। তাঁর এই অনন্য অর্জন বাংলাদেশের মানুষকে করেছে গর্বিত।

গ্রামীণ অঞ্চলে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৩৪৮ কিলোওয়াট ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে ৩৫ লক্ষ গ্রাহককে। নির্মাণ করা হয়েছে নতুন ৬৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

গ্রামীণ অঞ্চলে চলমান উন্নয়ন বজায় থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পাবে বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

April ২০২৪
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  

ফেসবুকে আমরা

বিভাগ

দিনপঞ্জিকা

April ২০২৪
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
%d bloggers like this: