মাগুরানিউজ.কমঃ
‘ধণ্য রাজা সীতারাম, বাংলা বাহাদুর/ যার বলেতে চুরি-ডাকাতি হয়ে গেল দূর/ বাঘ-মানুষে একই সাথে সুখে জল খায়/ রামীশ্যামী পুটলি বাঁধি গঙ্গাস্নানে যায়।’ – চারণ কবিরা যাকে নিয়ে গান বেঁধেছিলেন তিনি সীতারাম রায়।
মোঘলদের বিরুদ্ধে মাগুরার রাজা সীতারামের বীরত্বের যে ইতিহাস আজও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।রাজা নেই, রাজ্য নেই, নেই পাইক-পেয়াদা। হাতিশালে হাতি নেই কিংবা ঘোড়াশালে ঘোড়া। তবু কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সবই। মাগুরার মহম্মদপুরে অবস্থিত অন্যতম ঐতিহাসিক এই স্থাপনা যা আজ দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হতে চলেছে। অন্ততঃ তেমন প্রচেষ্টা আর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপরে মাগুরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘পর্যটন বান্ধব জেলা মাগুরা : সম্ভবনার নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক সেমিনারে মুঘল আমলের প্রত্নতাত্তিক এই নিদর্শনকে ঘিরে একটি প্রত্ন জাদুঘর গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারের প্রত্মতত্ত বিভাগের মহা পরিচালক আলতাফ হোসেন।
ট্রাভেল ম্যাগাজিন ভ্রমণ’র সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ সেমিনারে জেলা প্রশাসক জনাব আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য কামরুল লায়লা জলি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক ড. ভুবণ চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কোর্স পরিচালক মল্লিক সাঈদ মাহবুবর, মাগুরা পৌরসভার মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খানম মিতা, ট্রাভেল ম্যাগাজিন ভ্রমণের সম্পাদক আবু সুফিয়ান।
সেমিনারে জানানো হয়, দেশের অন্যতম পর্যটনবান্ধব জেলা মাগুরা। এ জেলায় রয়েছে সবুজ শ্যামল প্রকৃতির সমাহার। এছাড়া এ জেলায় প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন-ভাতে ভিটার মন্দির, সীতারাম রাজার রাজবাড়ি, কবি কাদের নেওয়াজের বাড়িসহ বিভিন্ন কবি সাহিত্যিকদের পদচিহ্ন রয়েছে। এর পাশপাশি জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা ও মুধমতি নদীসহ বিভিন্ন মনমুগ্ধকর নির্দেশন রয়েছে। যা মাগুরা জেলায় পর্যাটন সম্ভবনার নতুন দিগন্ত হিসেবে উন্মচিত হবে।