মাগুরানিউজ.কমঃ বিশেষ প্রতিবেদক-
সকালে তৈরি রাস্তার দুপুরেই বেহাল অবস্থা দেখা দেয়ায় মারমুখি গ্রামবাসীর ভয়ে পালিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।এলজিইডি’র সড়ক মেরামতে নিম্নমানের কাজের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং কর্মচারিদের হেনস্থা করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে জোটবদ্ধ গ্রামবাসী। সোমবার দুপুরে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এলজিইডি’র সদর উপজেলা পরিষদ প্রকৌশল বিভাগের অধীনে সদর উপজেলার রামদেবগাতি থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ৯৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ২ দশমিক ১০ কিলোমিটার রাস্তাটির মেরামতের দায়িত্ব পায় ফরিদপুরের শ্রাবণী কন্সট্রাকশন। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রাজবাড়ির বাবর আলি নামে একজন সাব কন্ট্রাকটর কাজটি করছিলেন। কাজটিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। সোমবার রাজাপুর স্কুলের সামনের অংশটি মেরামত হলেই কাজটি সম্পন্ন হতো। কিন্তু বিটুমিন কম দিয়ে কাজ করার অভিযোগে রাজাপুর এলাকার কয়েকশত গ্রামবাসী জোটবদ্ধ হয়ে দুপুর ৩টার দিকে সাব কন্ট্রাকটর বাবর আলি, মিস্ত্রি তালেব হোসেনসহ অন্যান্যদের উপর হামলা চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় মারমুখি গ্রামবাসীর হাত থেকে রক্ষা পেতে মাগুরা সদর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের দুই কর্মকর্তা পালিয়ে যায় বলে জানা যায়।
রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, গ্রামবাসী ফসিয়ার রহমান, আকতার হোসেনসহ আরো অনেকে অভিযোগ করেন, পুরো রাস্তা জুড়েই নিম্নমানের কাজ হয়েছে। কেউ কোন বাধা দেয়নি। কিন্তু রাজাপুর স্কুল এলাকায় এমনই কাজ হয়েছে যে, সকালে তৈরি রাস্তা দুপুরের আগেই উঠে যাচ্ছে। যে কারণে গ্রামের সাধারণ লোকজন জড়ো হয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
গ্রামবাসীর হামলার শিকার সাব কন্ট্রাকটর বাবর আলি বলেন, ১০ ফুট মতো কাজ বাকি ছিল। কিন্তু বিটুমিন ফুরিয়ে যাওয়ায় কাজ একটু হালকা হয়েছে। তবে কাজটুকু করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই আকতার নামে একটি ছেলের নেতৃত্বে শতশত লোক আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
এদিকে বিটুমিন কমের কথা সাব কন্ট্রাকটর স্বীকার করলেও সদর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী আনন্দ কুমার ঘোষ জানান ভিন্ন কথা।
তিনি বলেন, নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি তাদের মালামাল রাজাপুর স্কুল মাঠে রেখে কাজ করছিল। স্কুল কমিটি ঠিকাদারের কাছে স্কুলের রাস্তাটি করে দেওয়ার দাবি করে। কিন্তু ঠিকাদার তাদের দাবি অনুযায়ী কাজটি করে না দেওয়ায় হামলা চালানোর পাশাপাশি কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
ছবি-সংগ্রহ।