মাহাবুব ইসলাম উজ্জ্বল, বিশেষ প্রতিবেদক-
মহম্মদপুর উপজেলা সদরে মডেল মসজিদ নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ১৩ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৩ টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট এই মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নিম্নমানের ইটের সলিং বিছানোর অভিযোগ ওঠে। এই খবর পেয়ে ইউএনও নির্মাধীন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
অন্যদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই। নির্মাণ কাজ শতকরা ১৫ ভাগ শেষ হয়েছে। কাজটি চলছে ধীর গতিতে। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থ বরাদ্দের স্বল্পতার কারনে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কাজের কিছু অংশ করার পর দীর্ঘদিন যাবৎ কাজটি ফেলে রাখায় রোদ ও বৃষ্টিতে প্রতিটা গ্রেডবিম ও কলামের রড়ে মরিচা পড়ে গেছে। এই রড দিয়ে কাজ করলে বৃহৎ এই ভবনের স্থায়ীত্ব কমে যাবে বলে অনেকে ধারাণা করছেন। চলতি বছরের মধ্যেই মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতিতে তার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চত্বরের মধ্যে প্রশাসনের চোঁখের সামনে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের গাফিলতি থাকলেও তা নিয়ে কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি নেই। সম্প্রতি ওই মসজিদের কাজ শুরু হলেও মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নিম্নমানের ইটের ব্যবহার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে খবর পেয়ে ওই দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। গত বছরের জুলাই মাসে ঝিনাইদহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস লিটন ট্রেডাস নির্মান কাজ শুরু করেন। প্রায় এক বছর পার হলেও কাজের অগ্রগতি মাত্র ১৫ ভাগ। এর মধ্যে তিন মাসের অধিক সময় কাজ বন্ধ থাকায় প্রতিটা বিম ও কলামের রডে মরিচা পড়ে গেছে। এ অবস্থায় কাজ করলে মডেল মসজিদের স্থায়ীত্ব কমে যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মহম্মদপুর মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে হওয়ায় কাজ শেষ হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এক বছরেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও দৃশ্যমান কাজের আশানুরুপ অগ্রগতি নেই। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারবেনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কারন এই কাজের বাস্তবায়ন সময়সীমা মাত্র ১৮ মাস।
এ বিষয়ে নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মিজানুর রহমান লিটনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের পর সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগে প্রাথমিকভাবে কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সরেজমিনে আসতে বলা হয়েছে। তিনি আসলে ইট পরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’