মাগুরানিউজ.কমঃ
হাত ঘুরিয়ে ৪১ রানের বিনিময়ে নিলেন ৪ উইকেট। হয়ে গেল ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। এরপর ব্যাট হাতে হাঁকালেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। তাতেও নাম উঠে গেল রেকর্ড বুকে। দিনটা যেন শুধু মোহাম্মদ শুধু হাফিজেরই ছিল। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সহজ জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আজহার আলীর দলের জয়টি ৬ উইকেটের।
শনিবার ডাম্বুলায় আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৫৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। আর এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল শ্রীলঙ্কার। ১৬.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান তুলেছিল স্বাগতিকরা। এর পরই খেই হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা। ১১৮ রানের মধ্যেই আরো ২ উইকেট হারায় তারা। শেষমেশ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দিনেশ চান্দিমালের দৃঢ়তায় স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেটে ২৫৫ রান জমা করে শ্রীলঙ্কা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন চান্দিমাল। ম্যাথুস ও তিলকরত্নে দিলশানের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান করে। ১০ ওভারে ৪১ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন হাফিজ, যা ওয়ানডেতে তার সেরা বোলিং ফিগার।
২৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬৫ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার আজহার আলী ও আহমেদ শেহজাদের উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেটে বাবর আজমের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তিন নম্বরে নামা হাফিজ। ২৫ রান করে বিদায় নেন বাবর। এরপর চতুর্থ উইকেটে শোয়েব মালিকের সঙ্গে ৭৫ রানের আরেকটি জুটি গড়ার পথে সেঞ্চুরি তুলে নেন হাফিজ। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এটা হাফিজের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। আর এতে স্বদেশী ইজাজ আহমেদ, ইউনিস খান ও জহির আব্বাসের পাশে নিজের নাম লিখিয়েছেন হাফিজ। চারজনই ওয়ানডেতে তিন নম্বরে নেমে ছয়টি করে সেঞ্চুরি করেছেন।
সেঞ্চুরির পর ব্যক্তিগত ১০৩ রানে থামে হাফিজের চমৎকার ইনিংসটি। ৯৫ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান হাফিজ। তার বিদায়ের পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৬১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মালিক। ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন হাফিজ।


