মাগুরানিউজ.কমঃ
মাগুরার পল্লি সত্যবানপুর গ্রামের জিকু হত্যা মামলার প্রধান আসামী স্ত্রী মর্জিনা বেগম এখনও পলাতক রয়েছে। অন্য আসামী আতিয়ার খানকে গ্রেফতার করলেও স্ত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
এলাকার অনেকেই মনে করেন,স্ত্রীকে আটক করতে পারলে হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন হবে। নিহতের বোন নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে মাগুরা কোর্টে স্ত্রী মর্জিনাসহ ৪জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করে। সি আর ৪৪২/১৫ মামলা নং সূত্রে জানাযায়, ২নং আসামী পার্শবর্তি গাংনী গ্রামের ফরিদ খালাশির সাথে দীর্ঘ ২/৩ বছর ধরে দুই সন্তানের জননী মর্জিনার অবৈধ প্রেম গড়ে ওঠে। তাদের দৈহিক মেলামেশা ও স্বমীর হাতে ধরা খায়। বার বার স্ত্রীকে ঐ পথ থেকে ফেরাতে ব্যার্থ হয়। এর পর থেকে আসামীগন জাকির হোসেন জিকুকে মারার জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
প্রায় ১০মাস পূর্বে তাকে বিষ খাওয়ানোর পর যশোর সি এম এইচ এ চিকিৎসা নিয়ে সে যাত্রায় জিকু রক্ষা পায়। আপত্তিকর অবস্থায় আবারও ধরা খেলে স্ত্রীকে কঠিন চাপ সৃষ্টি করে ওই পথ থেকে ফিরে আসতে। তখন গভীর ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবার।
গত ২১ তারিখে মর্জিনা বেগম নটারী পাবলীক কার্যলয় গিয়ে স্বামীকে তালাক দেয়। এর পর গত ২৮ তারিখে রাতে স্বাসরুদ্ধ করে জিকুকে মেরে পার্শবর্তি একটি পুকুরে পুতে রাখে দুবৃর্ত্তরা। দুই দিন পর গত ৩০ তারিখে লাশ পুকুরে ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পোষ্টমটেম রিপোর্টে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে মর্মে প্রতিয়মান হয়।
অন্যদিকে মাকে বাচানোর জন্য নিহতের পুত্র থানায় অজ্ঞাতনামা দিয়ে খুনের সত্যঘটনা গোপন করে একটি মামলা করেছে বলে কোর্ট অভিযোগে আরো উল্লেখ্য করেছে।


