মাগুরানিউজ.কমঃ
দামি পোশাক ও জুতা পরলেও প্রসাধনী ছাড়া নারীদের সাজসজ্জার যেন পূর্ণতা প্রকাশ পায় না। তাই নিজেকে ঈদ-উৎসবের আমেজে সাজাতে তরুণী ও মধ্যবয়স্ক নারীরা পছন্দ করা পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কিনছেন বিভিন্ন প্রসাধনী। আর শিশুরা কিনছে মেহেদী। বিক্রেতারা মাগরানিউজকে জানান, প্রসাধনীর দোকানে ভিড় চলবে চাঁদরাত পর্যন্ত।
ঈদের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকী থাকায় মাগুরার ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমলগুলোতে চলছে প্রসাধনী বেচাকেনার ধুম। বক্সি মার্কেটে দেখা গেছে, ক্রেতাদের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে তিল ধারণেরও ঠাঁই নেই। তরুণীরা পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কিনছেন নেইল পলিশ, আই লাইনার, আই শেডো, মাসকারা, বিভিন্ন রঙের লিপস্টিক, কাজল, চুলের বেণী, পায়েল, মেকাপ, চুলের কন্ডিশনার, আংটি ও সুগন্ধি। আর শিশুরা কিনছে মেহেদী ও চুল কালারের জন্য সোনালী রঙ।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ডিজাইনের প্রসাধনীর পাশাপাশি হালকা ও মাঝারি ডিজাইনের কানের দুল, হার, কাঁকড়া, চুড়ি, আংটিরও চাহিদা রয়েছে। ডিজাইন ও মান ভেদে দুলের দাম দেড়শ থেকে ১ হাজার টাকা। অন্যদিকে বিভিন্ন ডিজাইনের বডি স্প্রে ও সুগন্ধি বিক্রি হচ্ছে দেড়শ’ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়।
তবে তরুণীদের পাশাপাশি শেষ মুহুর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত তরুণরাও। পাঞ্জাবির সঙ্গে মিলিয়ে তারাও কিনছেন হাত ঘড়ি, ব্রেসলেট, আংটি ও চেইন, চুলের জেল, সেভিং ক্রিম ও সুগন্ধি।
বিক্রেতারা জানান, ঈদ উপলক্ষে তারা ভারত, চীন, থাইল্যান্ড ও কোরিয়া থেকে প্রসাধনী সামগ্রী আমদানি করছেন। এসব সুগন্ধির দাম দেড়শ’ থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া কেউ কেউ কিনছেন আতর। বাজারে দেশি ও বিদেশি দুই ধরনের আতরই বিক্রি হচ্ছে।
বক্সি মার্কেটের প্রসাধনী বিক্রেতা বিপ্লব বলেন, রমজানের আর মাত্র কয়েকদিন বাকী থাকায় এখন মেয়েরা বেশিরভাগ প্রসাধনী কিনতে আসছে। রমজানের প্রথম দিকে ক্রেতা কম ছিল। এখন শেষের দিকে ক্রেতার পাশাপাশি বিক্রিও বেড়েছে। তবে দিন যত গড়াবে প্রসাধনী বিক্রির পরিমাণ ততই বাড়বে।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, আসল ব্র্যান্ডের পণ্যের পাশাপাশি নকল প্রসাধনীতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। ঈদকে ঘিরে বিদেশি নানা ব্র্যান্ডের নামে প্রসাধনী বিক্রি হলেও সেগুলো মূলত জিনজিরায় তৈরি হয়। পরে নিম্নমানের এসব পণ্যে বিদেশি সিল ব্যবহার করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হয়। যা নারীদের ত্বকের খুব ক্ষতি করে।
কসমেটিকস কিনতে আসা তরুণী লুৎফুন নাহার বলেন, দোকানদাররা বিদেশি ব্র্যান্ডের বলে দেশীয় নিম্নমানের জিনিস বিক্রি করে। যেগুলো ত্বকের অনেক সমস্যা করে। এসব পণ্য ব্যবহারের কারণে কারো কারো ত্বক পুরোপুরি নষ্টও হয়ে যায়।


