মাগুরানিউজ.কমঃ
জাতীয় জাগরণের কবি ফররুখ আহমদের আজ ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ‘মানবতা হোক নির্যাতিতের মাথার তাজ’ এই আকুলতা আজীবন ধ্বনিত হয়েছে কবিকণ্ঠে। ১৯৭৪ সালের ১৯ অক্টোবর ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেনে সরকারি বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন।
সাতসাগরের মাঝি, সিরাজাম মুনিরা, হাতেমতায়ী, নৌফেল ও হাতেম, হে বন্য স্বপ্নেরা প্রভৃতি কালজয়ী কাব্য লিখে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে স্বরণীয় হয়ে আছেন তিনি। মানবতার কবি ফররুখ ছিলেন ইসলামি আদর্শ ও মূল্যবোধের একনিষ্ঠ অনুসারী।
১৯১৮ সালে তৎকালীন যশোর জেলার মাগুরা মহকুমার মাঝাইল গ্রামে তার জন্ম। তার বাবা খান সাহেব সৈয়দ হাতেম আলী। মা বেগম রওশন। তিনি ছিলেন বাবা-মার দ্বিতীয় সন্তান।
কলকাতার বালিগঞ্জ হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্র ফররুখ ১৯৩৭ সালে খুলনা জেলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হন। পরে স্কটিশ চার্চ কলেজে দর্শনের ছাত্র ছিলেন।
১৯৪৭ সালের পর তিনি তৎকালীন রেডিও পাকিস্তানে যোগদান করেন। রেডিওতে তিনি স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দেন। পরিচালনা করেন কিশোর মজলিস। সৃষ্টিশীল এই মানুষটি রচনা করেন বহু গান। কাব্যনাট্য।
শিশু-কিশোরদের জন্য তার লেখালেখির পরিমাণও বিশাল। কবি ফররুখ আহমদ ছিলেন বিরল প্রতিভাধর একজন গুণী মানুষ। নীতির প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন।
বিশ্বাসের কারণে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান এই কবিকে জীবনের এক পর্যায়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি করা হয়। ঢাকার শাহজাহানপুরে কবি বেনজির আহমদের পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।


