মাগুরানিউজ.কমঃ
জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও স্থানীয় বাঙালিদের সক্রিয় অংশগ্রহণে রোববার নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
মিশনের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিদেশি অতিথিরা স্থায়ী মিশনে স্থাপিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তাদের মধ্যে ছিলেন- জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও মাল্টিলিংগুয়ালিজম এর সমন্বয়ক ক্যাথরিন পোলার্ড, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক ইনফরমেশনের প্রধান ক্রিস্টিনা গায়াচ এবং পোলান্ড, মালদ্বীপ, সিয়েরালিয়ন, শ্রীলঙ্কা ও হাঙ্গেরির স্থায়ী প্রতিনিধি।
এছাড়া, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন। ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে মহান ভাষা শহীদ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। তারপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালিত হচ্ছে।’
বিদেশি অতিথিরা তাদের বক্তৃতায় বাংলাভাষার অধিকার রক্ষায় বাঙালি জাতির আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং বলেন, মাল্টিলিংগুয়ালিজমের ধারণাকে আরও এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বাঙালি জাতির এ আত্মত্যাগ বিশ্বজুড়ে মূল চেতনা হিসেবে কাজ করছে।
ইউনেস্কোর পরিচালক মেরি পাউলে রুডিল দিবসটি উপলক্ষে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভার দেয়া বাণী পাঠ করে শোনান। পরে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা তাদের মাতৃভাষায় কবিতা আবৃত্তি, প্রবন্ধ পাঠ ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
পোলান্ডের স্থায়ী প্রতিনিধি পলিশ ভাষায় তার মায়ের লেখা ‘বাংলাদেশের নগরায়ন’ শীর্ষক গ্রন্থ থেকে পাঠ করে শোনান। শ্রীলঙ্কার শিল্পীরা সিংহলি ভাষায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
একুশের রাত ১২টা ১ মিনিটে মিশনে স্থাপিত শহীদ মিনারে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনের নেতৃত্বে মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া কনস্যুলেট জেনারেল অফিস, নিউইয়র্কস্থ বিভিন্ন জেলা সমিতি ও সংগঠনের নেতারা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বিডি নিউজ।