মাগুরানিউজ.কমঃ বিশেষ প্রতিবেদক –
অনন্য এক সম্ভাবনার শুভ সূচনা হয়েছে মাগুরা থেকে। সত্যিই বিশ্ময়কর সেই প্রথম দর্শন। প্রথমে থমকে যাওয়া, সাথে অপূর্ব এক সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনকে দেখে গর্বিত হওয়া। আর এই উদ্ভাবনের নাম ‘ব্রুনাই কিং’। ৫ কেজি ওজনের আম।
এটি বাংলাদেশে এই আমের পঞ্চম বছর। মাগুরার শালিখার আতিয়ার রহমান মোল্যার উদ্ভাবিত নতুন জাতের আম নিয়ে ২২ জুলাই ২০১৫ ‘মাগুরানিউজ’ প্রথম একটি সংবাদ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে এটি নিয়ে দেশের প্রায় প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমেই সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এই জাতের আম এসেছে সুদুর ব্রুনাই সুলতানের এর আম বাগান থেকে। এবছর মাগুরা হটিকালচার সেন্টার, মাগুরা প্রেক্লাবের ছাদবাগান, শতখালীসহ বিভিন্ন বাগানে এই আম ধরেছে। প্রতিদিন বহু মানুষ এই বিশাল আম দেখতে আসছেন। মাগুরা জেলায় ব্রুনাই কিং জাতের আম চাষীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করছে।
আতিয়ার ‘মাগুরানিউজ’কে জানান, আম নিয়ে গবেষনা আরো উন্নত ও মানসম্মত করার জন্য আমগুলির পরিপক্ক হওয়াটা খুবই জরুরী। কারন তার উদ্ভাবিত এই আম সমৃদ্ধ করবে দেশের কৃষিকে তেমনটাই তাকে জানিয়েছেন কৃষিবিদরা।
এই আম শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে পাকবে বলে জানান আতিয়ার রহমান। আমের রং ভালো ও স্বাদে কড়া মিষ্টি। মৌসুম ফুরিয়ে যাওয়ার পর এই আম পাকে বলে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে তিনি ‘মাগুরানিউজ’কে জানান।
নতুন জাতের এই আমের উদ্ভাবনের পেছনের কথা জানাতে গিয়ে আতিয়ার রহমান ‘মাগুরানিউজ’কে জানান, প্রতিবেশী ইব্রাহীম হোসেন ৮ বছর আগে ব্রুনাই থেকে আমের একটি শায়ন ডাল এনে তার বাড়ির আম গাছে কলম দেয়। ২ বছর পর সেই গাছে দেড় কেজি ওজনের কয়েকটি আম ধরে।
সেখান থেকে একটি শায়ন ডাল এনে আতিয়ার নিজের নার্সারীতে একটি ফজলী আমের গাছের সাথে কলম দেন। প্রথম বছর ওই গাছে ২ কেজি ওজনের ৫টি আম ধরে। এতে তিনি আরো উৎসাহিত হয়ে আম গাছের ব্যাপক পরিচর্যা শুরু করেন। এতে তিনি আশাতীত ফল লাভ করেন। এবার প্রতিটির ওজন ৫ কেজি মতো হবে।
কৃষিবিদরা বলছেন বর্তমানে নানা গবেষনার মাধ্যমে আমের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। তবে এত বড় আম এটাই প্রথম। নতুন উদ্ভাবিত এই আমের পর্যাপ্ত চারা তৈরী করা গেলে প্রচলিত আমের পাশাপাশি উন্নত জাতের এই আম চাষ করা গেলে মাগুরা ও পাশ্ববর্তী জেলাগুলো আম চাষের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে পরিচিতি পাবে। বাংলাদেশের সবখানেই এ জাতটির চাষ করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা।