মাগুরানিউজ.কমঃ বিশেষ প্রতিবেদক –
এ বছর প্রথম স্কুলে ভর্তি হলেও কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি লাবণ্য’র। খুব ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও স্কুলে যাবার সুযোগই হয়না। অধিকাংশ সময়ই তার কাটে ঘরের বিছানায়; জানালার শিক ধরে। সমবয়সিরা সারা উঠোন জুড়ে খেলা করে। অথচ অসহায়ের মতো নির্বাক সময় গড়িয়ে যায় তার তাকিয়ে তাকিয়ে।
সাড়ে ছয় বছর বয়সি লাবন্য বিশ্বাস কথা’র বাড়ি মাগুরা জেলা সদরের শিবরামপুর পূর্ব পাড়ায়। এ বছর সে ৫৫নং বাটিকাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। বাবা হতদরিদ্র ভবেশ চন্দ্র বিশ্বাস শহরের একটি কাপড়ের দোকানে সামান্য বেতনে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন। গত বছর ডিসেম্বরে ডাক্তারি পরীক্ষায় লাবণ্যর হার্টে তিনটি ছিদ্র পাওয়া যায়। এরপর থেকে ভেঙে পড়েছে লাবণ্য’র মা-বাবা।
লাবণ্য’র বাবা ভবেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই মেয়েটি বেশি হাটতে পারতো না। সবসময় কোলে উঠতে চাইতো। কিন্ত একটু বড় হলে এই সমস্যাটি আরো প্রকট আকার ধারণ করতে থাকে। গত বছর বরিশাল মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. হূমায়ন কবীরকে দেখানো হয়। কয়েকটি টেস্ট করানোর পর ধরা পড়ে হার্টে গুরুতর তিনটি ছিদ্র। তবে এর চিকিৎসা সম্ভব। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিনলক্ষ টাকার প্রয়োজন বলে তিনি জানিয়েছেন।
ভবেশ বিশ্বাস বলেন, টাকার জন্যে মেয়েকে ঢাকাতে নিয়ে যেতে পারছি না। মাত্র ৭ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করি। আত্মীয়-স্বজনদের অবস্থাও খুব ভাল নয় যে তাদের কাছ থেকে ধার-দেনা করবো। নিজেকে খুবই অসহায় মনে হচ্ছে।
এ অবস্থায় শিশু লাবণ্যর বাবা ভবেশ বিশ্বাস মেয়ের জীবন বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান মানুষদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠাতে তার বিকাশ নম্বর (পারসনাল)-০১৯২২০৭২৯৬০।
এছাড়া ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মাগুরা সদর শাখায় তার সেভিংস একাউন্ট নং- ০১৭৩১২২০০০০৪৩৮৪।