মাগুরা নিউজ.কম:মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধ মোঃ লাল মিয়া (৭০)। মৃত ছোটভাই শহীদ মোল্যার সন্তানদের পারিবারিক সম্পত্তির অংশ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য শালিশ মিমাংসা চলাকালে অন্য ভাই ও তার ছেলেদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে মারাত্মক আহত হন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে তিনি মাগুরা সদর হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মাগুরা সদর হাসপাতালের বারান্দায় বসে মোঃ লাল মিয়া জানান ,আমি মুক্তিযোদ্ধা। আমি আজীবন মুক্তিযোদ্ধা। যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই আমার আজীবন কর্তব্য হিসেবে জেনেছি। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই নিজের মৃত ছোট ভাইয়ের সন্তানদের তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির হিস্যা বুঝে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পাষন্ডরা তার বদলে আমাকে দিল ধারালো রামদায়ের কোপ আর বেদম মারপিট। মৃত ছোটভাই শহীদ মোল্যার সন্তানদের পারিবারিক সম্পত্তির অংশ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য শালিশ মিমাংসা চলাকালে অন্য ভাই ও তার ছেলেদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে মারাত্মক আহত ।
প্রায় ৪ বছর আগে তার ছোটভাই শহীদ মোল্যা মারা যান। এ সময় তিনি ৭ ছেলেমেয়ে রেখে যান। যার প্রায় সবাই তখন নাবালক। এ অবস্থায় পরিবারটি রীতিমত অথৈ সাগরে পড়ে। এ সময় তিনি ছোট ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের দেখভাল করতেন।কিন্তু অন্য ভাই মো: দুদু মিয়া ও তার ছেলেরা এতে বাধ সাধেন। তারা ওই পরিবারটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করে। একই সাথে তাদেরকে পৈত্রিক সম্পত্তির কোন অংশ না দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চালায়। এতে তিনি বাধা দিলে ভাই ও তার ছেলেরা বিভিন্ন সময় তাকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। রবিবার রাত ১০টার দিকে এ ব্যাপারে পারিবারিক একটি শালিশ মিমাংশা চলছিল। ওই শালিশে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুদু মিয়া ও তার ছেলে মুক্তাদির, আলী আকবর, নজরুল ও বাবুল তার উপর চড়াও হয়ে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজ সোমবার দুপুরে মাগুরা সদর হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়ে মাগুরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোল্যা নবুয়ত আলী জানান- একজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে যখম করায় আমরা মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনার জন্য দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবী জানাচ্ছি।