মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ বাজারে গার্মেন্টস ও মনোহরি দোকান গলির সরকারি সড়ক দখল করে টিনের চালা লাগিয়েছে অধিকাংশ দোকান মালিক৷ তাছাড়া সড়ক দখল করে বিভিন্ন মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে সড়কের উপর রেখেই বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। যার ফলে পথচারীদের চলাচলে চরম বিঘ্নিত ঘটার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় চরম ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত এ বিষয়ে পরস্পরের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ সকল ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হলেও কোন তোয়াক্কা করছেন না তারা। পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ ভোগান্তির স্থায়ী সমাধান কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গার্মেন্টস ও মনোহরি দোকান গলির প্রায় প্রতিটি দোকানের সামনেই দোকান মালিকেরা সরকারি সড়ক দখল করে টিনের চালা দিয়েছেন। দু-পাশে চালা দেওয়ায় প্রসস্থ সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এমনকি ব্যবসায়ীরা দখল করে তাদের গার্মেন্টস ও মনোহরি দোকান মেলাচ্ছে৷ যার ফলে কোন পণ্যবাহী কোন যানবাহন এ সড়কে চলাচল করতে পারছে না। ব্যবসায়ী ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে কয়েকদিন আগে সড়কটি প্রসস্থ ও পাঁকা করা হয়৷ সড়কটি চলাচলের সুবিধার্থে করা হলেও সড়কটি সম্পূর্ণরুপে চলাচলের অনুপযোগি হওয়ার পাশাপাশি বে-দখল হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে পথচারী সাইফুল ইসলাম জানান, এক সময় এ সড়কের ইট বিছানো ছিল। সড়কটি ও ছিল অনেক সরু। এখন সড়কটি অনেক বড় হয়েছে। কিন্তু সমস্যা আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। আগে এ সড়কের উপর টিনের চালা ছিল না, সড়কের উপর এভাবে দোকান বসতো না৷ এখন সব হচ্ছে। এ সড়কে চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটছে। আর এ সমস্যা সমাধান হওয়াটা জরুরি।
এ বিষয়ে অন্য পথচারী কাউছার মোল্যা জানান, ব্যবসায়ীরা সড়কের উপর যেভাবে দোকান বিছিয়ে রেখেছে আমাদের চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে৷ বিশেষ করে রবিবার ও বৃহস্পতিবার বাজারের দিন এ সড়কে চলাচলের কোন পরিবেশই থাকে না৷ ভ্যান তো দূরের কথা এখন এ সড়কে হেটে চলাই কষ্টসাধ্য।
এ বিষয়ে ঔষধ বিক্রেতা রাসেল হুসাইন জানান, কয়েকদিন আগেও এটা ছিল একটা গলি, এখন একটা সড়ক। এখানে উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু ভোগান্তি অনেকটা বেড়েছে। আর দুই পাশ থেকে টিনের চালা, আর সড়কের উপর দোকান বিছিয়ে সড়কটি আগের সেই পুরনো গলির থেকেও সরু করে ফেলেছে। আমরা কিছু বলতে গেলেই ঝামেলা বাঁধে। আমরা অন্যান্য ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যবসার পরিবেশ চাই।
এ বিষয়ে গার্মেন্টস দোকান মালিক জামান মোল্যা জানান, বৃষ্টি ও রোদের কারণে টিনের চালা দেওয়া হয়েছে। দোকানঘরে টিনের চালা দেওয়ার বিষয়ে তিনি কারো কাছ থেকে কোন অনুমতি নেননি। অন্যরা দিয়েছেন, তাই তাদের দেখাদেখি তিনিও দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে মহোহরি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে দোকানের সামনে মালামাল এর আগেও যেভাবে রাখতাম এখনো সেভাবে রাখি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব প্রভাস কুমার জানান, ঈদের ছুটি চলছে। এখন অফিস বন্ধ৷ হয়তো এ সুযোগে তারা এ কাজগুলো করছে৷ যদি এমনটি হয়ে থাকে অবশ্যয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতে বেশ কয়েকবার কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। বিষয়টি সরেজমিনে দেখার পর, এমন কোন কিছু হলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।