মাগুরানিউজ.কমঃ
শীত ঝাঁকিয়ে বসেছে গ্রাম বাংলায়। রাতে কুয়াশা দেখে ঘুমোতে যাওয়া মানুষের ঘুম ভাঙ্গে সকালের শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশায়। সকাল ১০ টা অবধি সূর্য্যি মামার দেখা মিলেনা। গ্রামের কোননা কোন বাড়ীর উনুনে গরম ভাপা’র আয়োজন চোখে পড়ে। মাগুরা জেলার সর্বত্র এখন উৎসবের আমেজ। ওয়াজ মাহফিল , উরস ও পালাগানের জমজমাট আসরের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামে বসছে মেলা ।
সবমিলিয়ে শীতের মৌসুমে জেগে উঠেছে আবহমান গ্রামবাংলা । ঘরে ঘরে চলছে নবান্ন উৎসব। নতুন ধান উঠেছে। কৃষকের মুখে হাসি। পালা-পার্বনের মধ্যে দিয়ে কৃষাণ কিষাণী একটু আনন্দ উপভোগ করার ফুরসত পায়। রাতের পর রাত কেটে যায় জারী সারি গানের আসরে। তারই পাশে ছোট মেলা। গরম জিলাপি। নিমকী ভাজা। ধোয়া তোলা ভাপা। সব দু:খ বেদনা ভুলিয়ে দেয় । এটাই চিরায়ত গ্রামবাংলার ঐতিহ্য।
জারী-সারি গানের আসরে রাত কাটিয়ে আনন্দ পান এমন একজন যুবক আনোয়ার হোসেন এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন , ‘ শ্রীপুরের প্রতিটি ইউনিয়নে একটা না একটা বুজুর্গ লোকের মাজার বা পীরের ভক্তদের আস্তানা আছে। ফলে শুকনো মৌসুম আসলেই উরস ও বাউল গানের আসর জমে উঠে। রাত জেগে গ্রামের মানুষ ওয়াজ শুনে আবার বাউল গান ও উপভোগ করে। শীতের দিন আসলে গ্রামে গ্রামে মাইকের শব্দ শোনা যায়। বাউল গানের শব্দ শুনলেই দল বেধে সবাই যায় গান শুনতে।’
এখানে অবশ্য নভেম্বর থেকেই শীত হাজির। ডিসেম্বরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বাউল গানের আসরে ঢোল-বাঁশির সাথে মাথা দুলিয়ে ছন্দে তাল মেলায় ছেলে বুড়োর দল। তাছাড়া অদ্ভুত ভাষা ও মিউজিকের শব্দ ও মাঝে মধ্যে কানে আসে। কলেজ পড়ুয়া পাড়ার ছেলেরা হাই ভলিউমে মিউজিক ছেড়ে র্যাকেট খেলে পল্লী বিদ্যুতের আলোয়। রাত গভীর হতেই কোথাও খেঁকিয়ে উঠে খেঁক শিয়ালের দল।