মাগুরানিউজ.কমঃ
রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। কোরবানির পশু কেনা হলেও অনেকেই এখনো ঠিক করতে পারেননি কসাই। ফলে দুশ্চিতায় রয়েছেন তারা।
মাগুরা শহরের জেলা পাড়ার বাসিন্দা সাইফুর রহমান। কোরবানি দেওয়ার জন্য দুটি গরু কিনেছেন। এখন কসাই না পাওয়ায় রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় কসাইদের কদর বাড়ে । পারিশ্রমিকের চেয়ে বেশি টাকা দিলেও তাদের পাওয়া বড় দায়। সকাল হলেই কোরবানি। অথচ এখনো কসাই পেলাম না। কী করব বুঝতে পারছি না।’
হাসপাতাল পাড়ার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদ মানেই আনন্দ। প্রতিবছরের মতো এবারো কোরবানির জন্য দুদিন আগেই পশু কিনেছি। এখনো পর্যন্ত সবকিছুই হাসি-আনন্দের মধ্যে যাচ্ছে। কিন্তু কসাই ঠিক হয়নি বলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। স্থানীয় কসাই রাজু ও আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সিডিউল যাওয়া যায়নি। তাদের শিডিউল অনুযায়ী আমার গরু কোরবানির সময় নির্ধারণ করেছেন ঈদের তৃতীয় দিনের বিকেল ৪টায়। এখন বাধ্য হয়ে হয়ত তাই করতে হবে।’
মহম্মদপুরের বাসিন্দা জাকির জানান, প্রতিবারের মতো এবারো তিনি গরু কেনার বাজেটের সঙ্গে কসাইয়ের বাজেট আলাদা করে রেখেছেন। স্থানীয় মোমীন কসাইয়ের সঙ্গে কথা বলে সিডিউলও নিয়ে রেখেছেন। প্রয়োজনে গরুর দাম হিসেব করে হাজারপ্রতি কসাইকে ২০০ টাকাও দিতে রাজি আছেন তিনি। তারপরেও যেন ঈদের দিন সকালেই গরু কোরবানি হয়। সেজন্য তিনি অনেকটাই টেনশন ফ্রি আছেন বলে জানালেন।
পেশাদার কসাইদের সংকটে মৌসুমী কসাইদের কদরও বেড়েছে। তবে তারা ঠিকভাবে পশুর চামড়া ছাড়াতে জানেন না। ফলে এসব চামড়া রফতানির মান হারায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কথা হয় কসাই শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার ঈদে ব্যস্ত, মহাব্যস্ত। ঈদের টানা তিন দিনই আমাকে বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে হবে। এই তিন দিনে ৩১টি গরু বানানোর শিডিউল দিয়েছি। পালাক্রমে এগুলো যথাসময়ে শেষ করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতি বছরই এই সময়ে আমাদের পেশার লোকজন ব্যস্ত থাকে। একজন পেশাদার কসাই ঈদের দিনই ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা আয় করেন। তবে ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে কমে আসে। পেশাদার কসাইদের সহযোগীরা বেশি টাকা পান না।’
ঈদের গরু বানানোর চার্জ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে কোনো নীতিমালা নেই। নেই কোনো নির্দেশনাও। তাই আমরা যে, যে রকম পারি, আয় করে নেই।’