মাগুরানিউজ.কমঃ
শেষ মুহূর্তে মাগুরার প্রতিটি গরু ছাগলের হাটে কোরবানীর পশু কেনা বেচা জমজমাট হয়ে উঠেছে।এবারের হাটে দেশী গরুর দিকে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কুরবা
নীর হাটগুলোতে গরু নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। এবারও প্রায় সব ক্রেতা দেশী গরু কিনবে বলে প্রত্যশা করছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর গরুর দাম একটু বেশি বলে জানান ত্রেতারা।
এদিকে অধিক মুনাফার লোভে কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী গরু মোটাতাজা করতে বিদেশী জাতের গরুকে বেছে নিয়েছেন। আর গরু মোটাতাজা করতে ব্যবহার করছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রী। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি দেশী জাতের গরু নিয়ে মুনাফা লাভের আশা করছেন অনেকে। তাদের ধারণা বিদেশী জাতের গরুর থেকে দেশী জাতের গরুর প্রতি সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা কয়েক গুণ বেশি।
হাটে আসা অনেক ক্রেতাই জানান, বিদেশী জাতের গরু মোটাতাজা করতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর যে ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে দেশী গরুর ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। আর এ কারণেই দেশী গরুর গোশের স্বাদই আলাদা।
তবে ভারতীয় গরুর আমদানি বেশি থাকায় দেশীয় গরুর খামারিরা পড়েছেন বিপাকে।
বরাবরের মতো এ বছরও হাটগুলোতে পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের বিপরীতমুখী বক্তব্য রয়েছে।তবে শেষ মুহূর্তে কোরবানির বাজার বেশ জমে উঠলেও বড় গরু বেচাকেনা হচ্ছে কম বলে জানালেন- ক’জন পাইকার। তবে ছোট ও মাঝারি গরুর এবার চাহিদা অনেক বেশি এবং বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর বলে জানান তারা।
মাগুরা জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট সদর উপজেলার রামনগর ও কাটাখালীসহ ছোট বড় প্রায় ৩০টি সাপ্তাহিক পশুর হাটে কয়েক লক্ষ গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ আমদানি হয়। এ সব হাট থেকে স্থানীয় ক্রেতাদের পাশা-পাশি ব্যাপারীরা ক্রয়কৃত পশু ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়।