মাগুরানিউজ.কমঃ বিশেষ প্রতিবেদক-
মাগুরা জেলায় নির্মিত হচ্ছে “শেখ কামাল আই টি পার্ক”। শহরের স্টেডিয়ামপাড়া এলাকায় বরাদ্দকৃত স্থানে কাজও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু শুরুতেই অমানবিক কান্ড ঘটিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের ২০টি সরকারি গাছ কেটে গোপনে বিক্রির সময় বুধবার তা জব্দ করেছে মাগুরা সদর উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে।
মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, শেখ কামাল আইটি পার্ক নির্মাণের জন্য শহরের স্টেডিয়ামপাড়ায় সরকারের পক্ষ থেকে ৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই জমিতে আম, কাঠাল, কদমসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় অর্ধশত গাছ ছিল। কিন্তু কোনো প্রকার সরকারি অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঝিনাইদহের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন কন্সট্রাকশনের লোকজন মঙ্গলবার ২০ টি গাছ কেটে গোপনে শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দুরে ইছাখাদা বাজারের একটি সমিলে নিয়ে বিক্রির চেষ্টা করে। সেখান থেকে বুধবার গাছের ৪৭ টি অংশ জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় মাগুরার পৌর ভূমি কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র বারুড়ী বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযুক্ত আছাদুজ্জামান, তারেক হোসেন ও কাজী রানা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান আরো জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তারা দেখেছেন, গাছগুলো না কেটেও নির্মাণকাজ করা সম্ভব ছিল। বরং গাছ থাকলেই ওই প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পাস আরো মনোরম ও ছায়া সুনিবিড় থাকতো।
আবু সুফিয়ানের মতে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে আইসিটি মন্ত্রণালয় শুধু ভবন নির্মাণ করার দায়িত্ব দিয়েছে। গাছের মালিক জেলা প্রশাসন। এ কারণে জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গাছস কাটা সম্পূর্ণ বেআইনী।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সদর থানায় দায়েরকৃত গাছ কর্তন মামলার আসামি কাজি রানা গণমাধ্যমে বলেন, নির্মাণ কাজের সুবিধার জন্য আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মৌখিক অনুমতি নিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসক ফেরত চাওয়ায় কাটা গাছগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে।
সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, আইসিটি পার্ক-এর গাছ কাটার আভিযোগে কাজী রানাসহ ৩ জনের নামে বুধবার বিকালে সদর থানায় মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।