“তারুন্যে বিনিয়োগ,আগামীর উন্নয়ন” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আজ ১১ জুলাই মাগুরা জেলায় পালিত হল বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। সকাল সাড়ে নটায় জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে সরকারী-বেসরকারী সংস্থার যৌথ আয়োজনে দিবসের শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষীন শেষে জেলা প্রশাসজক মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়।
সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক মিলনায়তনে দিবসের আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) (ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক) একেএম তারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা: সুনীল চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাজ্জাক, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আমিরনুল ইসলাম, জেলার শ্রেষ্ঠ সংগঠন হিসেবে ৩ টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্ত সংগঠন এফপিএবির সহকারী জেলা কর্মকর্তা অরুন শীল, ডা. নন্দ দুলাল বিশ্বাস, ডা. বিশ্বাস স্বপন কুমার, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মিসেস লতিফা পারভীন, বিলাস কুমার বিশ্বাস, পরিবার কল্যাণ সহকারি মিসেস শাহানারা পারভীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান থেকে পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন সংস্থা ও কর্মীদের পুরস্কৃত করা হয়। উল্লেখ্য এ বছর শ্রেষ্ঠ বেসরকারী সংস্থার পুরস্কারপ্রাপ্ত এফপিএবি সরকারের সহায়ক ও পরিপূরক শক্তি বা সহযোগী সংস্থা হিসেবে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রমে মাগুরা জেলায় এ বছর শ্রেষ্ঠ বেসরকারী সংস্থা হিসেবে চতুর্থবারের মত শ্রেষ্ঠ বেসরকারী সংস্থা নির্বাচিত হয়েছে।
জেলার শ্রেষ্ট বেসরকারী সংস্থা নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাগুরার উপ-পরিচালক মো: আমিনুল ইসলাম জানান,সরকারের পরিবার পরিকল্পনা মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি(এফপিএবি) মাগুরা বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। তিনি সংস্থাটির সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।অপরদিকে সিভিল সার্জন ও জেলা টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ডা: সুনীল চন্দ্র রায় জানান, মাগুরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে বেশ কয়েকটি বেসরকারী সংস্থা সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে এর মধ্যে এফপিএবির কার্যক্রম সময়োপোগী এবং সন্তোষজনক।পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ থেকে বরাদ্ধকৃত এলাকার সক্ষম দম্পতি এবং তাদের পরিবারের সকলের সেবাদানে অত্র প্রতিষ্ঠান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফল স্বরুপ বিগত তিন বছর এবং চলতি বছরেও এফপিএবি জেলার শ্রেষ্ট বেসরকারী সংস্থা নির্বাচিত হয়েছে।