মাগুরা জেলা বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ বিশ্বে দুইবার নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নারী বিজ্ঞানী মাদাম কুরির ৮০ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে । এ উপলক্ষে দুপুরে মাগুরা সরকারি কলেজের কলা ভবনে আলোচনা সভা ও মাদাম কুরির জীবনের ওপর ডকুমেন্টরি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রকৌশলী সম্পা বসু, অধ্যাপক কৃষ্ণ পদ ভট্টাচার্য্য, শুভ সাহা, রোহান ইসলাম প্রমুখ। মাদাম কুরি বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র নারী বিজ্ঞানী যিনি পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
মাদাম কুরি, যিনি গবেষণা করে গেছেন তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে। তার পুরো নাম মেরি সক্লোদভস্কা কুরি(Marie Sklodowska Curie ) জীবনে দু দুবার নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। প্রথম নারী নোবেল বিজয়ী। ইউরেনিয়াম, রেডিয়াম সহ নানা তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিয়ে ছিল তার গবেষণা। তখনকার সময় জানা ছিল না তেজস্ক্রিয় পরমাণু মানব স্বাস্থ্যের জন্য কত ক্ষতিকর। তিনি কোনো রকম সুরক্ষাকারী পোশাক ব্যাবহার না করেই করতেন গবেষণা। ক্যান্সারের হাত থেকে কি করে বাচা যাবে রেডিয়ামের শক্তিশালী বিকিরণ ব্যাবহার করে এই নিয়েই তিনি করে গেছেন সারা সাধনা। কিন্তু এই তেজস্ক্রিয় বিকিরণই তার জীবনকে খেয়েছে কুড়ে কুড়ে। রক্ত-মাংস-হাড় শেষ হয়ে গেছে তিলে তিলে। ধরেছে দুরারোগ্য ব্যাধি। তার ফলশ্রুতিতেই হল মৃত্যু।
১৯৩৪ সালের ৪ জুলাই তিনি চলে যান দুনিয়ার মায়া ছেড়ে। কি অধ্যবসায়ই না ছিল তার। করতে পারতেন অক্লান্ত পরিশ্রম। জীবনে পেয়েছিলেনও এমন বিজ্ঞান মনা এক স্বামী, পিয়েরে কুরি। তারা একসাথে করেছিলেন গবেষণা। পরে ১৯০৩ সালে তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কারক বেকেরেলের সাথে তারা দুজন মিলে মোট তিন জন পান নোবেল পুরষ্কার।
আজ তেজস্ক্রিয়তা আমাদের নিয়ে গেছে আধুনিক, অতি আধুনিক জগতে। তার জন্য আমাদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করতে হয় তার নাম, যিনি ছিলেন এর পথিকৃৎ।