টানা চতুর্থ বারের মত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জেলার শ্রেষ্ঠ বেসরকারি সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) মাগুরা। শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এফপিএবির কর্মকর্তা অরুন শীলের হাতে এ উপলক্ষে সনদপত্র তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক একেএম তারেক।
প্রতি বছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তারুণ্যের বিনিয়োগ, আগামীর উন্নয়ন- প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জনসংখ্যা দিবসে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সর্বোত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। সরকারের সহায়ক ও পরিপূরক শক্তি বা সহযোগী সংস্থা হিসেবে পরিবার পরিকল্পনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রমে মাগুরা জেলায় এ বছর শ্রেষ্ঠ বেসরকারি সংস্থা হিসেবে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) শ্রেষ্ঠ বেসরকারী সংস্থা নির্বাচিত হয়।
২০১৪ সালে পুরস্কারপ্রাপ্ত জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা হলেন- শ্রেষ্ট বেসরকারি সংস্থা এফপিএবি মাগুরা, শ্রেষ্ঠ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নহাটার মনোয়ারা খাতুন, শ্রেষ্ঠ পরিবার কল্যাণ সহকারী চাউলিয়ার সেলিনা খাতুন, শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র চাউলিয়া, শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ মাগুরা সদর উপজেলা, শ্রেষ্ঠ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ম্যাটারনিটি হসপিটাল মাগুরা।
বর্তমানে দেশের ৩২টি জেলায় এফপিএবি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মাগুরা জেলায় ১৯৮৪ সাল থেকে এফপিএবি জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাথে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
এফপিএবি মাগুরা বিশেষ কর্মইউনিট মাগুরা সদর উপজেলার ৩২টি কর্ম এলাকায় পরিবার পরিকল্পনার সিবিডি ও ক্লিনিক্যাল কার্যক্রম এবং শহরের আদর্শ কলেজপাড়া অবস্থিত ক্লিনিকের মাধ্যমে ক্লিনিক্যাল সেবাসহ পরামর্শ প্রদান করছে।
এফপিএবির কার্যক্রম সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে মাগুরার সিভিল সার্জন ও জেলা টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ডা. সুনীল চন্দ্র রায় জানান- মাগুরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে।
এর মধ্যে এফপিএবির কার্যক্রম সময়োপযোগী এবং সন্তোষজনক। তিনি পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রতিটি কর্মসূচীতে এফপিএবির সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ও উল্লেখ করেন তিনি।