মাগুরানিউজ.কমঃ
যাবতীয় সুযোগ থাকা সত্বেও মাগুরা জেলায় শিল্প কারখানা স্থাপিত না হওয়ায় বেকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলছে। কর্মসংস্থানের অভাব ও চাকরী না পেয়ে যুব সমাজ বেকার হয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। ফলে সমাজে দেখা দিচ্ছে নানান অরাজকতা।
পরিবেশ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের বসবাসের অনুপযোগী। বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরি, ছিনতাইয়ের সাথে সাথে মাদকের ভয়াবহতা। একদিকে শিল্পকারখানা স্থাপিত না হওয়ায় চাকুরির সুযোগ সৃষ্ঠি হচ্ছেনা । আর বিপুল পরিমান অর্থ ছাড়া সরকারি চাকুরি না মেলায় শিক্ষিত যুবকরা হতাশায় নিপতিত হয়ে বিভিন্ন মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে নিজের জীবনকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাথে সাথে পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে উচ্চ ও স্বল্প শিক্ষিত কর্মক্ষম অসংখ্য বেকার যুবক বর্তমানে মাগুরা জেলায় রয়েছে।শোনা যায়, সবখানেই টাকার প্রয়োজন যার পরিমান এত যা অধিকাংশ অভিভাবকের পক্ষেই দেয়া সম্ভব না। এসব শিক্ষিত বেকাররা বিকল্প উপর্জনক্ষেত্র না থাকায় চরম হতাশায় নিপতিত হয়ে নানান নেশায় আসক্ত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে।এলাকায় ভারতীয় মাদক দ্রব্য সহজলভ্য হওয়ায় এদিকেই বেশী ঝুকে পড়ছে। অনেকে বেকার সময় কাটাতে বিভিন্ন হাট বাজারের দোকানের ক্যারাম দাবা লুডু খেলায় সময় নষ্ট করছে।
অথচ বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্বেও উদ্যোক্তার অভাবে শিল্পকারখানা গড়ে উঠছেনা।মাগুরা জেলায় যথেষ্ট শিল্পপতি রয়েছে এবং অর্থশালী লোকের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু তাদের মাগুরা জেলায় কোন বিনিয়োগ নেই। তাছাড়া সরকারি কোন শিল্পকারখানা স্থাপিত হয়নি বা স্থাপনেরকোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছেনা। মাগুরা জেলায় বিপুল পরিমান লিচু, সবজি, কাঠাল, পেয়ারা উৎপাদন হয়।
এসব উৎপাদিত পন্যেকে কেন্দ্র করে কোল্ড স্টোরেজ এবং শিল্পকারখানা স্থাপন লাভজনক হলেও সরকারি -বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাগুরায় ফল প্রক্রিয়াজাত কারখানা, বস্ত্রকল, জুতার কারখানা, রাইসমিল, চিড়ামিল,হিমাগারসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার উপযোগী । সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহজ শর্তে ব্যাংক ঋন সুবিধা নিয়ে মাগুরা এলাকায় শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে বেকার যুবকদের কর্মের সংস্থান যেমন হবে তেমনি সমাজের অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হবে। ফিরে আসবে মাগুরার মানুষের মাঝে স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা।এলাকার অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে। দুর হবে তাদেও হতাশা।