মাগুরানিউজ.কমঃ
মাগুরা জেলার ৪ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩১ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমি থেকে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫২ বেল পাট উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।এবার জেলায় লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ চলতি মৌসুমে জেলার ৪ উপজেলায় ৩০ হাজার ৯১৩ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
এর মধ্যে মাগুরা সদর উপজেলায় লক্ষমাত্রা ছিল ৯ হাজার ১০৩ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ১০ হেক্টর।
শ্রীপুর উপজেলায় লক্ষমাত্রা ছিল ৮ হাজার হেক্টর, চাষ হয়েছে ৯ হাজার হেক্টর।
শালিখা উপজেলায় লক্ষমাত্রা ছিল ২ হাজার ৯৮০ হেক্টও, আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৯২০ হেক্টর।
মহম্মাদপুর উপজেলায় লক্ষমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৮৩০ হেক্টর, চাষ হয়েছে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর।
কিন্তু কৃষকরা জেলায় পাট চাষ করে ৩১ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৭২ হেক্টর বেশি। বর্তমানে কৃষকরা পাট জাগ এবং পাটের আশ ছড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছে। ভাল মূল্য পাবার আশায় পাটের পরিচর্যা করতে তারা ব্যস্ত। তবে নদী নালা খাল বিল পানি শুন্য থাকায় পাট পচাতে দুরবর্তী নদীতে কাচা পাট নিতে একদিকে অধিক অর্থ ব্যয় হচ্ছে অন্য দিকে ঝরাতে হচ্ছে শরীরের ঘাম।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গরুর গাড়ি, ভ্যান, নসিমন করিমন এমন কি ক্ষেত্র বিশেষ মাথায় করে কাচা পাট বহন করে পাশ্ববর্তী নদীতে নিয়ে জাগ দিচ্ছে। আবার কেউবা জাগ আসা পাট ছড়িয়ে রৌদ্রে শুকানোর কাজ করছে। এক শ্রেনীর নারী- পুরুশ পাট ছড়ানোর কাজ করে বেশ ভাল পয়সা উপার্জন করছে।১শ আটি পাট ছড়ায়ে মজুরী পাচ্ছে ৩শ টাকা।আবার কেউ কেউ পাটকাঠির বিনিময়ে পাঠ ছড়ানোর কাজ করছে।
কৃষি বিভাগ যদিও তাদের দ্বায়িত্ব পালনে সব সময়ই যথাযথ ভ’মিকা রাখেনা বলে কৃষকরা অভিযোগ করে থাকে।আর এ কারণে এবার অনেক চাষি তাদের পাট ঠিকভাবে চাষ করতে পারেনি। ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা যদিও কৃষকদের সব ধরনের সহযোগীতায় কথা বলেছেন। তবে র্কৃষকরা বলেছেন ভিন্ন কথা। তাদের কথা পাট চাষ করতে কখনো কৃষি বিভাগের কারো কোন সহযোগীতা পাওয়া যায়না। তারা যা বোঝে সে ভাবেই চাষাবাদ করে থাকে।