পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য প্রবাসে গিয়ে ফিরলেন লাশ হয়ে

মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-

পরিবারের সচ্ছলতা ফেরানোর জন্য ঋণ করে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন মো. নাজিমুদ্দিন (৪৫)। স্বজনেরা সুখের আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনা তাঁর জীবনে কাল হয়ে আসে। সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান নাজিমুদ্দিন। নানা প্রচেষ্টায় সাড়ে পাঁচ মাস পর মঙ্গলবার রাতে নাজিমুদ্দিনের লাশ দেশে আনা হয়েছে। বাবা, মা, স্ত্রী ও তিন সন্তান উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারটি।

নাজিমুদ্দিন মাগুরা সদর উপজেলার চাউলিয়া ইউনিয়নের বলেশ্বর গ্রামের সৈয়দ আবুল কাশেমের ছেলে। গত ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কর্মস্থলে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান তিনি। গতকাল বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে তাঁর লাশ। স্বজনেরা ওই দিন সন্ধ্যার পর লাশটি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে জানাজা শেষে বাড়ির সামনে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।

নাজিমুদ্দিনের পিতা সৈয়দ আবুল কাশেম বলেন, ২০২৪ সালের ১৬ আগস্ট ছেলে সৌদি আরব যাই৷ গত ৩১ সেপ্টেম্বর কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দূর্ঘটনার গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে তায়েফের আব্দুল আজিজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করে। লাশ দেশে আসার পর দাফন-কাফনের খরচের জন্য প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

নিহত নাজিমুদ্দিনের স্বজনেরা জানান, দেড় মাস আগে শ্রমিকের ভিসা নিয়ে নাজিমুদ্দিন সৌদি আরবে যান। জেদ্দায় তিনি শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ পান। মাত্র কয়েক দিন কাজ করার পর তিনি মারা যান। অনেক কষ্টে মানুষের কাছ থেকে ধার দেনা করে তিনি প্রবাসে গিয়েছিলেন। পরিবারটি খুব অসহায় হয়ে পড়লো।

ছেলের মৃত্যুতে মা হাজেরা খাতুন ভেঙে পড়েছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ছেলেটি পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল ছিল। আমাদের সুখের জন্য ছেলে অনেক কষ্টে বিদেশ গিয়েছিলো। অথচ তাঁর ছেলে লাশ হয়ে বাড়িতে আসছে। এরপর আর কথা বলতে পারেননি।

বাড়ির ভেতরে অঝোরে কেঁদে চলেছেন রাজনের স্ত্রী সাগরিকা বেগম। কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তিনি। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।

April ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  

ফেসবুকে আমরা

বিভাগ

দিনপঞ্জিকা

April ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
%d bloggers like this: