একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমেরনেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন। এর আগে ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখার আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষকে তাদের আইনি যুক্তি লিখিত আকারে আগামী ৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১২ সালের ২৮ মে এই ট্রাইব্যুনাল মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন। অভিযোগে মধ্যে রয়েছে- মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উসকানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যা।
অভিযোগ গঠনের ৩ মাস পর ২৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে মামলায় বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
পরে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন মুক্তিযোদ্ধা জহিরউদ্দিন জালাল, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর স্ত্রী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আজহারুল হকের স্ত্রী সৈয়দা সালমা হক, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খানসহ আরো ২৫ জন।
আসামিপক্ষের সাক্ষী (সাফাই সাক্ষী) হিসেবে প্রথমে ১০ হাজার ১১ জন সাক্ষীর তালিকা দিয়েছিল আসামিপক্ষ। পরে তারা ২৩ জন সাক্ষীর একটি সংশোধিত তালিকা জমা দেন।
এর মধ্যে ৪ জনকে সাফাই সাক্ষ্য দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট করে দেন ট্রাইব্যুনাল। সাফাই সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন জামায়াত নেতা মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে মোঃ নাজিবুর রহমান।
২০১০ সালের ২৯ জুন একটি মামলায় মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।