মাগুরানিউজ.কমঃ
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে এটি অন্যতম। কোরবানির ঈদ ত্যাগের সুমহান মহিমায় ভাস্বর। ঈদের প্রকৃত আনন্দ ত্যাগের মধ্যে, সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মধ্যে।
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অনেকে আপনজনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে চলে যান, আবার প্রবাস থেকে প্রিয়জনের কাছে আসেন কেউ কেউ। এই আনন্দ সত্যিকার অর্থে পূর্ণতা পাবে, যদি আমরা ধনী-দরিদ্র সবাই মিলে তাতে শরিক হতে পারি। সামর্থ্যবানরা যদি সমাজের দরিদ্র, অসহায় মানুষের প্রতি একটু সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেন, তখনই ঈদ সত্যিকার অর্থে সর্বজনীন উৎসব হয়ে উঠবে।
বিশ্বের বহু স্থানে অস্থিরতার মধ্যে উদ্যাপিত হচ্ছে ঈদ। আগ্রাসন, ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সহিংসতা বা গৃহযুদ্ধের মধ্যে সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগানিস্তানের শিশুরা ঈদের আনন্দ কতটুকু উপভোগ করতে পেরেছে, তা অনুমান করা কঠিন নয়। আমরা পারি এই সব যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। বিশ্বে যদি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত না হয় এবং শক্তিশালী দেশগুলো যদি অন্য দেশগুলোকে শোষণ করে নিজের সম্পদ বৃদ্ধির নীতি পরিত্যাগ না করে, তবে যুদ্ধাবস্থার অবসান হবে না। অধিকারবঞ্চিত শিশুদের মিছিল শুধু দীর্ঘই হবে।
মাগুরাতে কয়েক হাজার পশু কোরবানি দেওয়া হবে। এই কোরবানির মধ্যে দিয়ে অসহায়, ছিন্নমূল মানুষ হয়তো দীর্ঘদিন পর মাংসের স্বাদ নিতে পারবেন, কিন্তু একটুখানি সচেতনতার অভাবে পৌরবাসী বিড়ম্বনায়ও পড়তে পারেন। কোরবানির বর্জ্য যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং অপসারণ করা না হয়, তাহলে দুর্গন্ধ যেমন মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলবে, সঙ্গে রোগব্যাধি ছড়ানোর আশঙ্কাও থেকে যায়। এ জন্য পৌরসভাকে যেমন পদক্ষেপ নিতে হবে, তেমনি তাদের নির্দেশনাও পালন করতে হবে শহরবাসীকে।