মাগুরানিউজ.কমঃ
মাগুরায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। শহরের শাড়ি কাপড়, ছিট কাপড়, জুতার দোকান, দর্জির দোকান, কসমেটিকস থেকে শুরু করে প্রতিটি বিপনিবিতানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে গত দু’দিন ধরে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের এ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের বেবী প্লাজা, নুরজাহান প্লাজা, বকসী মার্কেট, খান সুপার মার্কেট, শাহিদা মার্কেট, কাপুড়িয়া পট্টি, জুতা পট্টি এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি দোকানেই ক্রেতারা ভিড় করছেন তাদের পছন্দের জিনিস কিনতে।
মাগুরার অভিজাত জুতার দোকান নাইট সুজের স্বত্যাধিকারী সৈয়দ জুলফিকার আলি মিলু জানান, ঈদে ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তিনি দোকানে নতুন ডিজাইনের জুতা স্যান্ডেল তুলেছেন।বিক্রিও মোটামুটি ভালো।
খান সুপার মার্কেটের শ্রীনিকেন বস্ত্রালয়ের মালিক তনয় বিশ্বাস জানান, গত দু’দিন ধরে জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে। ঈদে ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে তিনি দোকানে নিত্যনতুন ডিজাইনের শাড়ি তুলেছেন। ঈদ উপলক্ষে নতুন আসা কাপড়ের মধ্যে রয়েছে লেহেঙ্গা, জুট সিল্ক, জামদানি, কলাবেরি সিল্ক, কে-ক্রাফট, এমপ্লাস, টাপুর-টুপুর, বাহা, বেনারশিসহ বিভিন্ন প্রকার তাঁতের শাড়ি। যার মূল্য এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে ত্রিশ হাজার টাকা পর্যন্ত।
বেবী প্লাজার শিকদার বস্ত্রালয়ের মালিক কিশোর শিকদার জানান, ঈদ উপলক্ষে গত দু’দিন ধরে তার দোকানে প্রতিদিন প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে মার্কেটে আসা ক্রেতাদের অধিকাংশই চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে স্যালোয়ার-কামিজ, শার্ট-প্যান্ট, ছিট কাপড়ের দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। খান সুপার মার্কেটের রঙ বস্ত্রালয়ের মালিক উজ্জল কুমার জানান, ঈদ উপলক্ষে কাতান, কারচুপি, পাকিস্তানী, নিরা, সিজার, রিস্তা সহ নতুন নতুন ডিজাইনের থ্রী-পিচ বিক্রি করছেন। এখন ক্রেতাদের ভিড়ে দম ফেরানোর সময় নাই বলে তিনি জানান।
সানমুন টেইলার্সের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বেচাকেনার পাশাপাশি শার্ট-প্যান্ট তৈরির নতুন অর্ডার নেয়া বন্ধ।
কসমেটিকস দোকানেও ক্রেতারা ভিড় করছেন।নুরজাহান প্লাজায় কসমেটিকস-এর দোকানে আসা ক্রেতা শান্তা পারভিন জানান, ঈদ উপলক্ষে তিনি থ্রি-পিচ, স্যান্ডেল কেনার পাশাপাশি পছন্দের কসমেটিকস কেনার কাজও সেরে ফেলছেন। তবে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা অধিকাংশ ক্রেতায় অভিযোগ করেন, গতবারের তুলনায় শাড়ি কাপড় ও স্যালোয়ার-কামিজের দাম অনেক বেশী। যে কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তারা পছন্দের শাড়ি বা স্যালোয়ার কামিজ কিনতে পারছেন না।