মাগুরানিউজ.কমঃ
ঘোল খাবেন ঘোল….। মাগুরা শহরে আজও এ হাকডাক শোনা যায়। দুধের সাধ ঘোলে না মিটলেও এই গরমে একটু প্রশান্তির জন্য ঘোলের চাহিদা এখনো রয়েছে।
নানা খাবারের ভিড়ে ঘোল এখন বিলুপ্তির পথে। তার পরও গ্রামগঞ্জে প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ঘোলের চাহিদা রয়েছে আদিকাল থেকে।
সবাই ঘোল তৈরি করতে পারেন না জানালেন বিক্রেতা জয়নাল। জানালেন, গাভীর দুধ জাল দিয়ে ঘন করে তারপর ঠান্ডা করতে হয়। তার ভেতর টকদই দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে নাড়তে হয়। এক সময় দুধ থেকে মাখন আলাদা হয়ে যায়। মাখন দিয়ে তৈরি করা হয় খাঁটি ঘি। দুধ মিশ্রিত ঘন পানি ঘোলে পরিণত হয়। ঘোলকে এলাকা ভেদে মাঠা বলা হয়।
জানালেন সব পানিতে ঘোল হয় না। আয়রনমুক্ত পানি দরকার হয়। এ জন্য দূর থেকে নদীর স্বচ্ছ পানি সংগ্রহ করতে হয়। পানি ফুটিয়ে দিয়ে বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করা হয়। দই তৈরির পর মাটির পাত্রে সংরক্ষণ করতে হয়। পরে ঘোল ভালো করে মিশিয়ে হালকা লবণ দিয়ে কাঁচের গ্লাসে পরিবেশন করা হয়।
জয়নাল জানালেন, প্রতি গ্লাস ঘোল বিক্রি হয় ১০ টাকায়। ভারটা কাঁধে নিয়ে শহরে হাঁক ছেড়ে গোল বিক্রি করে বেড়ান তিনি। খরচ বাদে প্রতিদিন ৪০০-৬০০ টাকা আয় হয়।
জানালেন গরমের তিন মাস চলে এই কাজ। বাকি সময় অন্য কাজ করেন তিনি। ঘোল শরীর ঠান্ডা রাখে। রোগমুক্তির পর ঘোল পান উপকারি। এ ছাড়া গরম লাগা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা অসুখে ঘোল উপকারি বলেও জানান তিনি।