মাগুরানিউজ.কমঃ
বিশেষ প্রতিবেদক-
মাগুরা-নড়াইল সড়কটি দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেহাল দশার কারণে সড়কপথের যানবাহন চলে নৌকার মতো হেলে-দুলে। এ দশা একদিন কিংবা দু’দিনের নয়, বছরের পর বছরের। খানাখন্দে ভরা মহাসড়কটিতে চলার উপায় নেই, না চলেও উপায় নেই। তবুও নজর নেই জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের।
এলাকাবাসীরা জানান, সংস্কার একেবারে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় দু-এক মাসের মধ্যেই তা আগের অবস্থায় ফিরে যায়। সংস্কারকাজ এক মাসও টেকেনা। তাদের ভাষ্য, সংস্কার কাজের তিন-চার মাস পর সওজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সড়কটি পরিদর্শনে আসেন। তত দিনে সড়কটি আগের চেয়েও খারাপ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পৌঁছানোর আগেই সওজের স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী পকেটের টাকা খরচ করে সড়কের কিছু কিছু জায়গা মেরামত করান।
সড়ক ও জনপথের (সওজ) মাগুরা কার্যালয় সূত্র জানায়- মাগুরা-নড়াইল সড়কটির দৈর্ঘ্য ৪৫ কি.মি। এর মধ্যে মাগুরা অংশে আছে ৩২ কি.মি। এর মধ্যে মাগুরা শহর থেকে ধলহরা পর্যন্ত ৯ কি.মি গত বছরের প্রথম দিকে সংস্কার করা হয়। কিন্তু নিম্নমানের কাজ হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যেই তা আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
জামান নামে এক বাসযাত্রী বলেন, ‘অসুস্থ মানুষকে নিয়ে এসব পথে চলাচল দুরূহ ব্যাপার। বিশেষ করে রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। বাস বা অটো লাফাতে লাফাতে চলে।
মাগুরা বাস মালিক সমিতি সুত্র বলেন, প্রতিদিন মাগুরা থেকে মহম্মদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ৩৫টি বাস আর নড়াইল অভিমুখে যায় ৩৭টি বাস। এ সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে সবাই চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
বাস চালক আবেদিন বলেন, এই রাস্তায় আমার প্রতিদিন গাড়ি চালাতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। প্রায়ই কাত-চিৎ হয়ে গাড়ি পড়ে যায়। বিকল হয়ে পড়ে যন্ত্রপাতি। ঘটে দুর্ঘটনা।
সড়কের এমনই বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ করেন সড়কটির প্রতিদিনের যাত্রী একটি কলেজের শিক্ষক জোবায়ের।
তিনি বলেন, প্রতিদিন নৌকার মতো নৌকার গতিতেই চলে গাড়ি। রাস্তা খারাপ থাকায় গাড়ির গতি বাড়াতে পারেন না চালক।
সড়ক ও জনপথের (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুন্নবী তরফদার জানিয়েছেন, সড়ক সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
ছবি- ফাইল ছবি
Like this:
Like Loading...