মাগুরানিউজ.কমঃ
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের ঢুষরাইল গ্রামের আনোয়ারুল উলুম হফেজিয়া মাদ্রাসার পেছনের ঝোঁপের মধ্যে থেকে বুধবার ভোরে চারটি বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে সেগুলো করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও এলাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মাদ্রসার শিক্ষক হাফেজ কুতুব উদ্দিন গণমাধ্যমে জানান, ভোরে তিনি প্রথমে বোমাসদৃশ বস্তু চারটি দেখতে পান। সেগুলো মাদ্রাসার পাশের কয়েকজন বাসিন্দাকে ডেকে দেখান তিনি। পরে বিষয়টি মোবাইলে মাদ্রসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা বিল্লাল হোসেন মোল্যাকে জানানো হলে তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল এসে সেগুলো পানিভর্তি বালতিতে রেখে দেয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বোমাসদৃশ বস্তুগুলো কৌটার আকৃতি। লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো। বৈদুতিক দুটি তার রয়েছে। বস্তুগুলোতে মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা মাওলানা বিল্লাল হোসেন মোল্যার মোবাইল নম্বর লিখে টেপ দিয়ে সাঁটানো আছে।
স্থানীয়দের মতে এগুলো রেখে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির পরিকল্পনা ছিল দুর্বৃত্তদের।
মাওলানা বিল্লাল হোসেন মোল্যা গণমাধ্যমে বলেন, ষড়যন্ত্র করে আমাকে হয়রানি করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কেউ কাউকে হয়রানি করার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।