উদ্বোধনের আগেই ঝুকিতে মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতি নদীর উপর নবনির্মিত ‘শেখ হাসিনা সেতু’। রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে সেতুটি এখন স্থানীয়দের পাট-পাটকাঠি, জ্বালানি কাঠ শুকানোর জায়গা হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে রেলিংয়ে পাট-পাটকাঠি শুকানো হচ্ছে। জ্বালানি কাঠ স্তুপ করে রাখা হয়েছে। সেতু জুড়ে অস্থায়ী ভ্রাম্যমান দোকানীদের ফেলা ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি। ফলে সেটুটি তার স্বাভাবিক চেহারা হারিয়েছে। এককথায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে সেতুটি। সুদীর্ঘ সেতুতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় রাতে সেতু পারাপার ঝুকিপূর্ন হয়ে দাড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্যয়বহুল এই সেতুটি কেন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নেই তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মাগুরা-২ আসনের এমপি মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলাবাসীর স্বপ্নের ‘শেখ হাসিনা সেতু’ বাস্তবায়িত হয়েছে।
বর্তমানে এলাকার মানুষের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ‘শেখ হাসিনা সেতু’। প্রতিদিন প্রিয়জনকে নিয়ে হাজার হাজার মানুষ আসেন সেতুটি দেখতে ও সেতুর ওপর দাড়িয়ে মধুমতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। নিয়মিত লোকসমাগম হওয়ায় সেতুর উপর ও তাঁর আশপাশে গড়ে উঠেছে অনেক স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান।অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আর সেসঙ্গে প্রতিদিন প্রচুর ময়লা জমছে সেতুর উপর। ময়লা ফেলা হচ্ছে নদীর মধ্যেও।
‘শেখ হাসিনা সেতু’ আনুষ্ঠানিক ‘উদ্বোধন না হলেও যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। বিশাল এই সেতু দেখভাল নিরাপত্তা ও পরিস্কার পরিছন্ন রাখার জন্য কারা দায়িত্বে রয়েছেন চেষ্টা করেও তা জানা যায়নি। এককথায় অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে সেতুটি। পাশাপাশি সেতুতে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতে সেতুটির ঝুকিপূর্ন অনিরাপদ অবস্থা সচেতন মহলের চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। বিষয়গুলি নিয়ে কতৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সচেতন নাগরিকেরা।