মাগুরানিউজ.কমঃ
দাবি একটি পালসার মোটরসাইকেল, না পেলে ছিন্ন করা হবে সকল সম্পর্ক। অসহায় শান্তার কিই বা করার আছে। অগত্যা স্বামীর দাবিকৃত পালসার মোটরসাইকেল দিতে না পেরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শান্তা খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূ।
মাগুরার শালিখা উপজেলার নাঘোষা গ্রামে বুধবার (১ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
শান্তার মামা মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, প্রায় এক বছর আগে মাগুরা সদর উপজেলার বেলনগর গ্রামের মৃত বাবু শেখের ছেলে পুলিশের সিপাহি মারুফ হোসেনের সঙ্গে শান্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মারুফ ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য শান্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ দিয়ে আসছিলেন। শান্তার বাবা দিনমজুর শহিদুল ইসলাম অনেক সময় জামাইকে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী ও নগদ টাকা দিয়েছেন।
সম্প্রতি শান্তা বাবার বাড়ি এলে মারুফ ফোনে তার কাছে ফার্নিচার ও পালসার মোটরসাইকেল দাবি করেন। শহিদুল ইসলাম ধারদেনা করে কিছু ফার্নিচার তৈরি করে জামাইকে দেওয়ার কথা জানান।
এদিকে বুধবার বিকেলে মারুফ পালসার মোটরসাইকেল না পেলে শান্তাকে তালাক দেওয়া হবে বলে জানায়। এতে শান্তা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। বুধবার রাতে কোন এক সময় ঘরে আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন শান্তা।
পরে বাড়ির লোকজন টের পেয়ে রাত ১১টার দিকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে নিহত শান্তার স্বামী পুলিশ সদস্য মারুফ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের দায়ী করে মামলা করা হয়েছে।
নিহতের চাচা লাইছুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শালিখা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মারুফ, তার মা, বোন ও ভাইসহ একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ জানান, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।