মাগুরানিউজ.কমঃ
আমরা মাগুরাবাসি, এতেই গর্ব অনুভব করি। গর্ব করার জন্য মাগুরা নামটাই যথেষ্ট, প্রয়োজন নেই কোনও গৌরচন্দ্রিকারও। তাই কোনও সূচনা নয়, একেবারে ‘টু দ্য পয়েন্ট’, ‘মাগুরানিউজ’ জানাচ্ছে ( এই বিষয় নিয়ে প্রকাশিত ও স্বীকৃত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে মাগুরা নিউজের তথ্য গবেষনা সেলের তৈরী এই প্রতিবেদন) এমন কিছু তথ্য আপনি প্রবাসেই থাকুন, মাগুরাতে থাকুন বা দেশের যেখানেই থাকুন আরো বেশি জানুন জানা-অজানা আপনার প্রিয় মাগুরাকে। শেয়ার করে সবাইকে জানতে সহযোগিতা করুন।
৩৬তম পর্ব-
‘বন্দর নগরী মাগুরা’
গুপ্ত শাসনামলে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুখ্যাতি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। শীল ভদ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন। তার শিষ্য ছিলেন চীনা পর্যাটক ইউয়ান চোয়াং। তিনি পাঁচ বছর যাবত বৌদ্ধ শাস্ত্র শিক্ষা লাভ করে ‘মহাবান দব’ উপাধি পেয়েছিলেন। তিনি ৬২৯ থেকে ৬৪৫ সাল পর্যন্ত সমতটের অধিকাংশ এলাকা ভ্রমণ করেছিলেন। বৃহত্তর যশোর জেলার ৩০টি বৌদ্ধ সংঘরাম ছিল। যশোরের মুরলীতে একটি বৌদ্ধ বিহার ছিল।
মাগুরা জেলার মহম্মদপুরে বৌদ্ধদের বসতি ছিল। এটি বৌদ্ধ নগরীও গড়ে উঠেছিল। নদীর করাল গ্রাসে এই নগরী হারিয়ে যায়।
গুপ্তশাসন আমলের শেষভাগে ইউয়ান চোয়াং মহম্মদপুর এসেছিলেন। তখন মহম্মদপুর নাম কি ছিল তা- জানা যায় না। তবে গুপ্ত শাসন আমলে এলেংখালি নামে একটি বন্দর ছিল। মহম্মদপুরের পাশে এলেংখালি নামে মধুমতি নদীর খেয়াঘাট আছে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে, ইয়াং চোয়াং এলেংখালি বন্দর হয়ে মহম্মদপুরের বদ্ধ নগরীতে এসেছিলেন।
গুপ্ত শাসন আমলে মাগুরা অঞ্চলে অনেক কায়স্থ ও ব্রাহ্মণ বসতি স্থাপন করেছিলেন। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার লাভ করেছিল। এই সময়ে মাগুরা অঞ্চলে কয়েকটি নদী বন্দর স্থাপিত হয়েছিল। এসব বন্দরের সাথে বিদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল।
টলেমির ইতিহাসে প্রমাণ করে মাগুরা জেলার লাঙ্গলাবান্দ বন্দর ছিল। শালিখা অঞ্চলে গভীর জঙ্গল ছিল। এই জঙ্গলে হিংস্র জীব-জন্তু ছিল।
গুপ্ত শাসন আমলে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলায় অবলুপ্ত ছাতিয়ান নদীর তীরে সিন্দাইনে একটি বন্দর ছিল। তবে এ বন্দরের তখন কি নাম ছিল জানা যায়না। গুপ্ত শাসনামলে আজকের মাগুরা জেলা বেশ সমৃদ্ধশালী ছিল।