পুষ্টিকর খাদ্যশস্য হিসেবে ছোলা খুবই পরিচিত। আর রমজানে এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আর তাই বাজারে ছোলার দাপটই আলাদা। ছোলার উপকারিতা জানুন-
দৈনিক প্রায় ৫০ গ্রাম ছোলা খেলে মাছ-মাংস ইত্যাদি ঘাটতি পূরণ হয়। অনেকেই হয়ত জানেন না ছোলায় প্রায় মাংস, মাছ বা ডিমের আমিষের সম পরিমাণ আমিষ থাকে।
ছোলায় আমিষ, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১ ও বি-২ আছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসও রয়েছে।
ছোলায় শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম, যা শরীরের অস্থির ভাব দূর করে। ছোলা হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এর আঁশ রক্তের চর্বি কমায় এবং শর্করা গ্লুকোজ হয়ে দ্রুত রক্তে চলে যায় না ফলে ডায়াবেটিকস রোগীর জন্য ছোলা উপকারী। ছোলায় বিদ্যমান পলি আনস্যাচুয়েটেড ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়।
উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ছোলা দীর্ঘক্ষণ শরীরে শক্তির যোগান দেয়। ছোলা কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। তবে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একই সঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক যাবে।