মাগুরানিউজ.কমঃ
গত ২৫/০৬/২০১৫ খ্রিঃ তারিখ মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানায় রুজুকৃত “গৃহ ডাকাতি” মামলার এজাহার নামীয় ১নং ধৃত আসামী শিহাব আলী(৩০), পিং-অহিদ খাঁন, সাং-মৌশা গুচ্ছ গ্রাম, থানা-মহম্মদপুর, জেলা-মাগুরার বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
জবানবন্দীঃ
ঘটনার রাত্রে আমি আমার বাবা-মা আর আমার বন্ধু টিপু একত্রে বসে খেলা দেখি ২৫/০৬/২০১৫ খ্রিঃ তারিখ ০০.৩০ পর্যন্ত। অতঃপর খাওয়া দাওয়া শেষে টিপু তার বাড়ী চলে যায়। তার বাড়ী আমার বাড়ীর পাশেই। আমি শুয়ে পড়ি।
৫মি. পরে টিপু এসে আমাকে ডাক দেয় যে তার দাদী অসুস্থ্য নিখরহাটা যেতে হবে। তারপর আমিসহ টিপু(২১), পিং-আমিনুর শেখ, জসীম(১৮), পিং-রব্বানী উভয় সাং-মৌশা গুচ্ছগ্রাম, থানা-মহম্মদপুর, জেলা-মাগুরা হেঁটে চলে যাই নিখরহাটা প্রাইমারী স্কুলের সামনে, সেখানে দেখি নয়ন(১৮), পিং-ইদ্রিস আলী, ইউসুফ(১৮), পিং-হাফিজার শেখ, হাবিবুর(১৮), পিং-আতিয়ার, সর্ব সাং-নিখড়হাটা, থানা-মহম্মদপুর, জেলা-মাগুরা আমারা সবাই বন্ধু।
আর কেউ ছিল কিনা টিপু জানে। তখন টিপু আমাকে বলে নুরুন্নাহারের বাড়ী যাবে তার সাথে দেখা করতে। আমি প্রথমে রাজী হই না কিন্তু আমাকে হুমকি দিলে আমি যাই। আমি আর জসীম দাড়ানো ছিলাম রাস্তায়। বাকীরা প্রথম যায় নুরুল ইসলামের বাড়ীতে।
ঐ বাড়ীতে তারা গ্রীল কেটে ঢোকে। ফ্রিজ খুলে আম খায়। স্বর্ণের চেইন, টাকা-পয়সা(৭৭,০০০/-) নিয়ে আসে। তবে ঐ বাড়ীতে কোন চিৎকার শোনা যায়নি। তারপর তারা নুরুন্নাহারের বাড়ীতে।
তাদের হাতে কোন অস্ত্র ছিল কিনা জানিনা। তাদের কোমরে অস্ত্র থাকতে পারে। নুরুন্নাহারের বাড়ী থেকে আসার সময় টিপুর হাতে গামছা দিয়ে বাঁধা ছোট একটা টোপলা ছিল। তারপর আমরা আবার স্কুলের কাছে যাই। টিপু আমাকে বলে নুরুন্নাহারের সাথে দেখা হয়েছে। স্কুলের কাছে এসে টিপু বলে সামনে ৫মি. দাড়াতে। তারপর সে কোথায় যায় গামছা দিয়ে বাঁধা টোপলা নিয়ে। যখন আসে তখন তার কাছে এই টোপলা ছিল না। আমরা জিজ্ঞাস করলে বলে ভালো জায়গায় রেখে আসছে। তারপর আমরা চলে আসি।
আমার বাড়ীর কাছে এসে আমাকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য বলে এবং সেহরীর সময় আমাকে আর জসীমকে ১,০০০/- টাকা দেয়। সকালে টিপুর সাথে দেখা হয় একবার কিন্তু সে তাড়াহুড়া করে পালিয়ে যায়। কারন ততক্ষণে লোক জানাজানি হয়ে গেছে। নুরুন্নাহার লোকজনদের বলে সে আমাকে ও টিপুকে চিনতে পেরেছে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমি ধরা পরি।
সূত্রঃ- মহম্মদপুর থানার মামলা নং-৩৪, তারিখ-২৫/০৬/২০১৫ খ্রিঃ, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড।