মাগুরানিউজ.কমঃ
গত বছর কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষন নিয়ে চলতি বছর মাগুরার শালিখা উপজেলার কাতলী গ্রামের ১০/১৫ জন কৃষক কেঁচো কম্পোস্ট দ্বারা তৈরি করছে ভার্মি কম্পোস্ট সার। এ সারের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হলো গোবর কচুরিপানা, ইপিলইলিপ গাছের পাতা, সজনে পাতা এবং কেঁচো। সরকারি প্রযুক্তি নিয়ে হতদরিদ্র কৃষকরা নিজ নিজ উদ্যোগে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার কারখানা তৈরি করেছেন বাড়ির আঙ্গিনায়।
তাদের একটি খামার তৈরিতে খরচ হয় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা, বড় খামার হলে ব্যয় হয় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে ৩ মাসের ট্রেনিং নিয়ে তারা এই ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করেছেন অধিক লাভের আশায়। কিন্তু সরকারি কোন প্রকার প্রচার-প্রচারণা, মাঠ দিবস ও সেবামূলক কাজ না করায় এ প্রযুক্তি ব্যর্থ হতে চলেছে। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের দৃষ্টি না দেয়ার ফলে ভার্মি কম্পোস্ট সার বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে উপজেলার হাট-বাজারে এই সার বিক্রি হয় না। ফলে প্রতি বছরে ৪০/৫০ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হয় খামারিদের। এতে করে একদিকে তির মুখে কৃষক অন্যদিকে সরকারি প্রযুক্তিও বিফলে যাচ্ছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে শালিখার কাতলী গ্রামের চাষি আবুল বাসার জানান, তিনি একজন প্রতিবন্ধী, ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি খামার তৈরি করেছেন। বর্তমানে খরচের তুলনায় আয় খুবই নগন্য হওয়ায় তিনি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
ওই গ্রামের কায়েম আলীসহ আরো ৭ জন উদ্যোক্তা লোকসানের মধ্যে রয়েছে। তারা আরো জানান, ট্রেনিং এর সময় কর্মকর্তারা বলেছিলেন, প্রত্যেক ভার্মি কম্পোস্ট চাষিদের একটি করে গাভী ও ৯০ হাজার টাকা করে ঋণ দেয়া হবে। যাতে করে সাবলম্বী হতে পারেন এসব কৃষক। অথচ তারা সরকারি ঋণ পাচ্ছেন না, পাচ্ছেন না কোন সরকারি পৃষ্ঠপোকতা। ফলে দিন দিন সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন ভার্মি কম্পোস্ট চাষিরা। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, ভার্মি চাষের কোন প্রজেক্ট আমাদের এখানে নেই।