মাগুরানিউজ.কমঃ
মাগুরা জেলার মাশরুম চাষিদের উৎপাদিত ২ কোটি টাকার মাশরুম রপ্তানি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে জেলা মাশরুম ফাউন্ডেশন ও কাজী মাশরুম ফার্মের উদ্যোগে এই রপ্তানির প্রক্রিয়া চলছে।
এ মাশরুম সংগৃহীত হবে জেলার শতাধিক মাশরুম চাষির কাছ থেকে। প্রতি মাসে রপ্তানিযোগ্য মাশরুমের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় দেড় টন। ইতিমধ্যে রপ্তানির সমস্ত প্রক্রিয়াই শেষ হয়েছে বলে জেলা মাশরুম ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী ইব্রাহিম জানান।
কাজী ইব্রাহিম জানান, জেলায় দিন দিন মাশরুম চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। আগে বিচ্ছিন্নভাবে হাতে গোনা কয়েকজন শোখিন চাষি মাশরুম আবাদ করতেন। প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও বাজার চাহিদা না থাকায় তারা এ চাষ লাভজনক করতে পারেননি। এতে অনেকেই চাষ ছেড়ে দেন।
পরবর্তী সময়ে কৃষি বিভাগের সহায়তায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাশরুম চাষের উদ্যোগ নেয় মাশরুম ফাউন্ডেশন। মানসম্মত মাশরুম উৎপাদন করায় স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি তারা বিদেশের বাজারে মাশরুম রপ্তানির সুযোগ পান। ব্যাপক চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় খুলে যায় মাশরুম চাষের নতুন দিগন্ত। মাগুরা সদরেই শতাধিক চাষি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাশরুম আবাদে নেমে পড়েন।
মাশরুম চাষিরা বলেন, অল্প পুঁজি ও কম বিনিয়োগ করে মাশরুম চাষে বেশি লাভ করা যায়। বাড়ির আশপাশে সামান্য জায়গা ব্যবহার করে মাশরুম চাষ করা যায়। এটা চাষের জন্য আবাদি জমির প্রয়োজন হয় না। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহজলভ্য। ঘরের তাক বা যেকোনো সমান জায়গায় কম আলোয় মাশরুম চাষ করা যায়। বীজ বোনার পাঁচ-সাত দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়। আট থেকে দশ হাজার বীজ থেকে দৈনিক ১৫-১৮ কেজি মাশরুম পাওয়া যায়।
১০০ গ্রাম কাঁচা মাশরুম ২০-২৬ টাকা, শুকনা ১৭০-১৮৫ টাকা এবং গুঁড়া ১৭০-১৮৫ টাকা বিক্রি করা যায়। তাই বাড়তি আয়ের মাধ্যম হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে মাশরুম চাষ। অন্যান্য সবজির তুলনায় বাজারে এর দাম অনেক বেশি।
আমাদের দেশে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে ‘স্ট্র মাশরুম’ এবং শীতকালে ‘ওয়েস্টার’ জাতের মাশরুম চাষ উপযোগী।
মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোখলেছুর রহমান জানান, মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। বিদেশে মাশরুমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মাগুরা থেকে মাশরুম বিদেশে রপ্তানি হবে এটা অত্যন্ত আশার কথা।